

গোটা বিশ্বের মতো ভারতেও করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷ একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারতের অন্তত সাতটি ওষুধ নির্মাতা সংস্থা এই মুহূর্তে করোনা প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করছে৷ প্রতীকী ছবি


এই তালিকায় রয়েছে ভারত বায়োটেক, সিরাম ইনস্টিটিউট, জাইডাস ক্যাডিলা, প্যানাকিয়া বায়োটেক, ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যালস, মিনভ্যাক্স এবং বায়োলজিক্যাল ই৷ প্রতীকী ছবি


হায়দ্রাবাদারে ভারত বায়োটেক ইতিমধ্যেই তাদের তৈরি প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিনের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করার অনুমতি পেয়েছে৷ গত সপ্তাহেই ওই প্রতিষেধকের মানব দেহে পরীক্ষা শুরু হয়েছে৷ প্রতীকী ছবি


দেশের অন্যতম বৃহত্তম ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এ বছরের শেষ দিকে তারা করোনার প্রতিষেধক তৈরি করে ফেলার বিষয়ে আশাবাদী৷ প্রতীকী ছবি


সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়ালা সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, 'বর্তমানে আমরা AstraZeneca-র সঙ্গে মিলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যে প্রতিষেধকটি তৈরি করছে, সেটি নিয়ে কাজ করছি৷ ওই ভ্যাকসিন আপাতত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে৷ এর পাশাপাশি আগামী অগাস্ট মাসের শেষ দিকেই আমরা ভারতেও মানব দেহে আমাদের ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করব৷ এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে এ বছরের শেষ দিকেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি ভ্যাকসিন ভারতে চলে আসবে বলে আমরা আশাবাদী৷' প্রতীকী ছবি


পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, AstraZeneca-র সঙ্গে তাদের চুক্তি অনুযায়ী তারা অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিনের ১০০ কোটি ডোজ উৎপাদন করবেন৷ এই ভ্যাকসিনের ডোজগুলি মূলত ভারত সহ অন্যান্য কম আয়ের দেশগুলিতে সরবরাহ করা হবে৷ এছাড়াও বিশ্বের আরও কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তাদের সংস্থা বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও৷ প্রতীকী ছবি


জাইডাস ক্যাডিলা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন ZyCoV-D প্রতিষেধকটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল আগামী সাত মাসের মধ্যেই শেষ হবে৷ গত সপ্তাহেই এই সংস্থা মানব দেহে তাদের তৈরি প্রতিষেধক প্রয়োগ করা শুরু করেছে৷ প্রতীকী ছবি


Panacea Biotech জানিয়েছে মার্কিন সংস্থা রেফানার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে করোনা প্রতিষেধের ৫০ কোটি ডোজ তৈরি করবে৷ তার মধ্যে ৪ কোটি ডোজ আগামী বছরের শুরুর দিকেই সরবরাহের জন্য তৈরি হয়ে যাবে বলে আশাবাদী সংস্থা৷ প্রতীকী ছবি


ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের অধীনস্থ সংস্থা ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যালস অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রতিষেধক তৈরির কাজ চালাচ্ছে৷ প্রতীকী ছবি