

প্রাথমিক ভাবে সবারই মনে হয়েছিল যে মারণ ভাইরাসকে হয় তো বা আয়ত্তে আনার উপায় পাওয়া গিয়েছে। জোরকদমে চলছে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কাজ, শুরু হয়ে গিয়েছে ট্রায়ালও। এমনকি এর মধ্যেই মার্কিন মুলুকের নতিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সর্বসমক্ষে করোনাভাইরাসের টিকাও নিয়েছেন। কিন্তু এই সব আশার প্রদীপ যেন এক ফুৎকারে নিভিয়ে দিল ব্রিটেনে ক্রমবর্ধমান নতুন ধারার করোনা সংক্রমণ। খবর মোতাবেকে, এ বারে সংক্রমণের হার যেমন বেশি, তেমনই অনেক বেশি অপ্রতিরোধ্য ভাইরাসও। ফলে যতই উৎসবের মুহূর্ত হোক না কেন, ব্রিটেন চার নম্বর দফার লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। এ দেশে করোনার নতুন ধারা (New Covid Strain) এখনও দেখা দেয়নি বটে, কিন্তু ঝুঁকি না নিয়ে বেশ কয়েকটি রাজ্যেও সরকার থেকে বড়দিন এবং নতুন বছরের উদযাপন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামগ্রিক এই পরিস্থিতিতে করোনার নতুন ধারার উপসর্গ থেকে চিকিৎসাপদ্ধতি, কয়েকটি তথ্যে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যেতে পারে!


করোনার নতুন ধারার উপসর্গ কি আলাদা?চিকিৎসকরা অনুমান করছেন যে তেমনটা হতেই পারে! তবে এখনও পর্যন্ত আলাদা কোনও উপসর্গের খোঁজ পাওয়া যায়নি, বিষয়টি রয়েছে পরীক্ষাধীন পর্যায়ে। আগের মতো করোনার নতুন ধারাতেও জ্বর, সর্দি-কাশি, বুকে ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, স্বাদ আর গন্ধ হারিয়ে ফেলা, শ্বাসকষ্ট- এই উপসর্গগুলো ধরেই রোগ শণাক্তকরণের কাজ চলছে।


করোনার নতুন ধারা কি আগের চেয়েও বিধ্বংসী? এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ পোষণের জায়গাই নেই! চিকিৎসকেরা বলছেন যে নতুন ধারার এই ভাইরাস আগের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি শক্তিশালী। এবং সেই অনুপাতেই সংক্রমণের দিক থেকে এটি অনেক বেশি বিধ্বংসী।


নতুন ধারার করোনা চেনা কি সহজসাধ্য হবে? এখনও পর্যন্ত যেহেতু আগের উপসর্গ ধরেই এই ভাইরাসের সংক্রমণকে চিহ্নিত করা হচ্ছে, সেই জন্য এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। সেই দিক থেকে দেখলে আগে যে পদ্ধতিতে এই রোগের চিকিৎসা চলছিল, এখনও পর্যন্ত অন্তত সেটাই অনুসরণ করা হচ্ছে।