

• করোনা প্রতিরোধের লড়াইয়ে এখন গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আছে করোনার ভ্যাকসিনের দিকে। কিন্তু সেই ভ্যাকসিন কবে হাতে আসবে সে কথা কেউই এখনও জানেন না। তার মধ্যেই করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনালেন বিজ্ঞানীরা। ভ্যাকসিন এলেই করোনার প্রকোপ কমবে না। প্রথমবারের ভ্যাকসিনে করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না বলেই মত তাঁদের।


• কী বলছেন বিজ্ঞানীরা? তাঁদের মতে, প্রথম ধাপের করোনা ভ্যাকসিনেই রোগ মুক্তির আশা করে থাকলে ভুল হবে। কারণ, প্রথম ভ্যাকসিনেই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। বরং এই ভ্যাকসিনে উপসর্গ কমতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। টাইমস পত্রিকার একটি প্রতোবেদনে বলা হয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন মানুষকে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে এখনই সফল হবে না।


• অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা, যাঁরা করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করছেন, ঠিক করেছেন, যাতে একজন মানুষকে করোনা থেকে ৫০ শতাংশ নিরাপত্তা দেওয়া যায়, সেই ক্ষমতার ভ্যাকসিন তৈরি করার দিকে। তাঁরা মনে করছেন, এভাবে উপসর্গ যুক্ত আক্রান্তের সংখ্যা যদি ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা যায়, তাহলেই অনেকটা উপকার হতে পারে। ফলে একেবারে চরম সাফল্য না পেলেও, প্রথম ধাপে আংশিক সাফল্য পাবে করোনার ভ্যাকসিন।


• গবেষণার প্রধান বিজ্ঞানী স্যার প্যাট্রিক ভ্যালন্সে জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন যাঁদের শরীরে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছর শুরুতেই করোনার ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষের কাছে এসে পৌঁছে যাবে। কিন্তু তাতে উপসর্গ কমবে মাত্র, পুরো মাত্রায় করোনা মুক্তি এখনই ঘটবে না।


• সেই কারণেই তিনি বলেছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা থেকে শুরু করে অন্য যে নিয়মকানুন ছিল, সেগুলি পালন করে যেতে হবে পৃথিবীর সাধারণ মানুষকে। ভ্যাকসিন এলেও সেই নিয়ম মানতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ শরীরে করোনার উপসর্গ কমাতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁরা মনে করছেন, প্রথম একটি করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার একমাস পর আবারও একবার ভ্যাকসিন নিতে হবে। তাহলেই সম্পূর্ণ নিরাপদ হওয়া যাবে।