

• পুণের সিজন জেনারেল হাসপাতালের দাবি ,দেশের প্রথম ‘ভার্টিকাল ট্রান্সমিশন’-এর কেস ধরা পড়েছে । যেখানে কোভিড পজিটিভ মায়ের থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে গেল তাঁর গর্ভস্থ সন্তান । প্রতীকী চিত্র ।


• একেই বলে ‘ভার্টিকাল ট্রান্সমিশন’ । মায়ের শরীরে থাকার সময় প্লাসেন্টার মাধ্যমে খাদ্যরস ও অক্সিজেন গ্রহণ করে শিশু । ইউটেরাসের সঙ্গে যুক্ত থাকে এই প্লাসেন্টা । চিকিৎসকদের দাবি, প্লাসেন্টার মাধ্যমেই ‘ভার্টিকাল ট্রান্সমিশন’ হয়েছে । প্রতীকী চিত্র ।


• অর্থাৎ প্লাসন্টার মধ্যে দিয়ে মায়ের থেকে শিশুর শরীরে বাহিত হয়েছে মারণ ভাইরাসের জীবাণু । এর আগে দেশে এই ঘটনা দেখা যায়নি । প্রতীকী চিত্র ।


• সিজন জেনারেল হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রধান আরতি কিনিকার জানাচ্ছেন, আগে অনেক সময় দেখা যাচ্ছে মা যদি পজিটিভ থাকেন, তা হলে বাচ্চারও সংক্রমণ হয়েছে । কিন্তু সেটা জন্মের পর । বুকের দুধ খাওয়ার ফলে অথবা মায়ের সঙ্গে খুবই নিকট সম্পর্কের ফলে জন্মের ৩-৪ দিন পর জীবাণু সংক্রমণ হয়েছে । কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা । প্রতীকী চিত্র ।


• ICMR-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী এই গর্ভবতী মহিলা আগেও কোভিড টেস্ট করিয়েছিলেন । কিন্তু তাঁর রিপোর্ট সে সময় নেগেটিভ আসে । ডেলিভারির সপ্তাহ খানেক আগে দেখা যাচ্ছে তিনি কোভিড পজিটিভ এবং তাঁর সন্তানের দেহেও এই রোগ বাসা বেঁধেছে ।


• ওই মহিলা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর তার সোয়াব টেস্ট করা হয় । অ্যাম্বলিকাল কর্ড এবং প্লাসেন্টারও টেস্ট হয় । সব জায়গা থেকেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে ।


• সদ্যোজাত ওই শিশুকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে । চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এটি খুবই জটিল একটি পরিস্থিতি । তবে দু’জনেরই চিকিৎসা চলছে । শিশুটিকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে । তার শরীরে কোভিডের মারাত্মক লক্ষণ দেখা দেয় জন্মের ৩ দিন পর থেকে । প্রতীকী চিত্র ।


• যেমন, সাইটোকাইন স্টর্ম । যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয় । তবে বহু চেষ্টার পর মা ও শিশু দু’জনকেই সুস্থ করে তুলতে পেরেছেন চিকিৎসকরা । তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে । প্রতীকী চিত্র ।


• সিজন হাসপাতালের ডিন মুরলীধর টাম্বে বলছেন, ‘‘এটাই ভারতের প্রথম ‘ভার্টিকাল ট্রান্সমিশন’ । এই কেস খুবই বিরল । ফলে এই চিকিৎসা করাও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল । মা ও শিশুকে ছেড়ে দেওয়ার পর ৩ সপ্তাহ ধরে এই কেসটার উপর গবেষণা চালানো হয়েছে । এবং তিন সপ্তাহ পরে তাঁদের দু’জনেরই ফের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয় । দেখা যায়, দু’জনেই অ্যান্টবডি তৈরি করে নিয়েছে শরীরে । আন্তর্জাতিক জার্নালের এই কেসটি সম্বন্ধে আর্টিকেল প্রকাশিত করতে চলেছি আমরা ।’’ প্রতীকী চিত্র ।