

#মালদহ: করোনার থাবায় লাগাতার এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঝাঁপ বন্ধ ব্যাংকের। সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে ব্যাংক খোলার কথা ছিল। সেইমতো সাত সকাল থেকেই ব্যাংকের সামনে ভিড় করেন বহু মানুষ। কিন্ত, সকাল দশটা নাগাদ ব্যাংকের দরজা খোলার পরিবর্তে দরজায় ফের এঁটে দেওয়া হয় অনিদৃষ্ট কাল বন্ধের নোটিশ। এতেই মাথায় হাত পড়ে পেনশনভোগী থেকে শুরু করে অসংখ্য সাধারণ গ্রাহকদের। শেষ পর্যন্ত রাস্তায় বসে পড়ে অবরোধ শুরু করেন পেনশনভোগী বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা।


তাঁদের প্রশ্ন, ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলে, পেনশন তুলতে না পারলে, খাবেন কি ? সোমবার সকালে এমনই ঘটনা ঘটে মালদহের হবিবপুরের বুলবুলচন্ডী এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায়। এই শাখায় কয়েকশো পেনশনভোগী গ্রাহক রয়েছেন। কিন্তু, মাসের প্রথম দিক থেকেই ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ থাকায় এঁদের অধিকাংশই এখনো পেনশনের বরাদ্দ মাসিক টাকা হাতে পাননি। ফলে দিনযাপন করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।


উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যাঙ্কের সামনেই মালদহ- নালাগোলা রাজ্য সড়কে অবরোধ করেন পেনশন প্রাপকরা।জানা গিয়েছে, চলতি মাসের প্রথম দিকে আচমকাই এই ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজার করোনা সংক্রমিত হয় বলে ধরা পড়ে। সেই সময়েই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে টানা এক সপ্তাহ ব্যাংক বন্ধ থাকার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। ঠিক ছিল সোমবার থেকে ব্যাংকের পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে। কিন্তু, এদিন নতুন করে করনা আক্রান্ত হন ব্যাংকের ম্যানেজার এবং একাধিক কর্মী। ফলে ফের নতুন করে ব্যাঙ্ক বন্ধ সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।


কিন্তু, অসুবিধেই পড়া পেনশনভোগীরা সাফ জানিয়ে দেন জেলা অন্যত্র কোন ব্যাঙ্কের শাখা থেকে কর্মী এনে ব্যাঙ্ক খুলতে হবে। শেষ পর্যন্ত অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলতে এলাকায় পৌঁছয় হবিবপুর থানার পুলিশ। গ্রাহকদের স্বার্থে বিকল্প ব্যবস্থা করে ব্যাঙ্ক চালু রাখার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ব্যাঙ্কের গ্রাহকরাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক করা না হলে ফের বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। Input-Sebak DebSarma