

•অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনটি ছয় মাস বা আরও কম সময় কার্যকর করা যেতে পারে, শনিবার একটি প্রতিবেদনে তেমনই বলা হয়েছে। ইংল্যান্ডের এক সংবাদ মাধ্যম যে তথ্য সামনে এনেছে তা যদি সম্পূর্ণ সত্যি হয়, তাহলে আশা করা যায় যে ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস বিরুদ্ধে একটি ভ্যাকসিন ছাড়পত্র দিতে পারেন স্বাস্থ্য অধিকর্তারা। Representative Image


•ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা (AstraZeneca) ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সহযোগিতায় ভ্যাকসিন পরীক্ষার প্রক্রিয়াতে এগিয়ে রয়েছে৷ দ্য টাইমসের এক প্রতিবেদনে সরকারি সূত্রের খবর, ভ্যাকসিন তৈরি ও অন্যান্য দেশে সেটা পাঠানো প্রক্রিয়া ছ’মাসের মধ্যে শুরু হতে পারে৷ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন রোল আউট প্রোগ্রাম অনুমোদন পাওয়ার পরে ছয় মাস বা তারও কম সময় নিতে পারে। এই বিষয়টি রীতিমতো আশা জাগিয়েছে৷ Representative Image


•সরকারি সূত্র থেকে আরও তথ্য পাওয়া গিয়েছে যে, ৬ মাস বা তার কম সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন আসতে পারে যার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে৷ এমনই জানানো হয়েছে৷ Representative Image


•ইংল্যান্ডের জয়েন্ট কমিটি অন ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন একটি প্রোটোকল নিয়ে এসেছে যেখানে জানানো হয়েছে যে ৬৫-এর বেশি বয়সীদের প্রথমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে এবং তারপর ধীরে ধীরে তার থেকে কম বয়সী বা যাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি, তাদের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে৷ এদের মধ্যে থাকবেন সংখ্যালঘু এবং গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগতে থাকা মানুষজন৷ ৫০ বছরের বেশি বয়সী লোকেরা থাকবে তারপরের তালিকায়৷ এবং তার থেকে কম বয়সীরা ভ্যাকসিন পাবেন তারপর৷ Representative Image


•ইংল্যান্ড সরকার একবার অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ১০০ মিলিয়ন ডোজ অর্ডার করেছে৷ এটি তৈরি হলেই বিতরণ প্রক্রিয়া প্রস্তুত করা হবে৷ অর্থাৎ কী কী ভাবে কোথায়, কতটা ভ্যাকসিন ডোজ পাঠানে হবে, তার তালিকা তৈরি হয়েছে৷ তার আগে অবশ্য সবকটি ধাপ নিয়ম মেনে উতরে যেতে হবে ভ্যাকসিন পরীক্ষার৷ Representative Image


•ভ্যাকসিন পরীক্ষার বিষয়ে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী৷ তারা আশা করছেন যে এই বছরের শেষের আগে এর ফল পাবেন মিলবে এবং তারা খুব কমপক্ষে ৫০ শতাংশ সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ হবে৷ একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে এমনই বলা হয়েছে৷ সাফল্যের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছেন বলে তাঁরা মনে করছেন। এটি অনুমোদিত হলে, ইংল্যান্ডের ন্যাশনল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) এই ভ্যাকসিনকে গণ টিকা শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে৷ Representative Image


•ইংল্যান্ডের এই ভ্যাকসিন পরীক্ষার অগ্রগতি ভারতের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ৷ কারণ পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন উত্পাদনের করছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে৷ এর নাম কোভিশিল্ড ৷ পুণের এই সংস্থা দেশে ১৭টি ট্রায়েল করার পর অপেক্ষা করছে তার ফলের জন্য৷ Representative Image