

ফেসবুক, ট্যুইটার ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে হালফিলে করোনা নিয়ে হরেক পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে। যাদের মধ্যে কয়েকটি পোস্ট এমনও দাবি করছে যে ‘ড্রাই থ্রোট’ বা গলা শুকনো থাকলে নাকি শরীরে অধিক মাত্রায় জীবাণু প্রবেশ করে। মানেটা বেশ সাফ- ইঙ্গিত করছে কোভিড-১৯ সংক্রমণের দিকে। Representational Image


ভয় পাবেন না, এই দাবি একেবারেই সত্যি নয়। এ প্রসঙ্গে থাই জনস্বাস্থ্য মন্ত্রকের কথা বলতেই হয়। কেন না, সম্প্রতি তাঁরা সরব হয়েছেন, বলেছেন এ রকম কোনও তথ্য তাঁরা দেননি। অন্য চিকিৎসাবিদরাও সহমত হয়ে বলেছেন যে ড্রাই থ্রোট হলেই সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় না। সত্যি বলতে কী, ড্রাই থ্রোট বা গলা শুকনো লাগা একদমই জীবাণু সংক্রমণ বাড়িয়ে তোলার জন্য দায়ী নয়। জীবাণু আমাদের শরীরে কোষ ও শ্বাসনালীর মাধ্যমে প্রবেশ করে ব্রঙ্কিয়া দিয়ে বাহিত হয় এবং ফুসফুসে গিয়ে পৌঁছয়। অতএব, ড্রাই থ্রোট হলেই যে জীবাণু সংক্রমণ হবে তা একেবারেই নয়। Representational Image


কিন্তু আচমকা থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রক ড্রাই থ্রোট নিয়ে পড়ল কেন? আসলে গুজব ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। ভাইরাল হয়েছে একটা থাই পোস্ট। থাই ভাষায় প্রকাশিত সেই পোস্টের তর্জমা অনুযায়ী: স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে যে ইনফ্লুয়েঞ্জা খুব সাংঘাতিক। অতএব সতর্কতা অবলম্বনের পদ্ধতি হল- গলার মেমব্রেন বা পর্দার আর্দ্রতা বজায় রাখা, গলা কখনওই শুকনো হতে না দেওয়া। তাই তেষ্টা পেলেই জল পান করতে হবে। কারন যদি গলার মেমব্রেন শুষ্ক হয়ে যায় তাহলে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করবে। Representational Image


সেই পোস্ট দেখে নিতে পারেন এই লাইনে ক্লিক করে- https://perma.cc/YJ8Y-VXTQ ৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অন্তর্গত ব্যুরো অব রিস্ক কমিউনিকেশন অ্যান্ড হেলথ বিহেভিয়ার ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ডক্টর সুথাত চোতানাপন কিন্তু বলছেন স্পষ্টই- এই দাবি মিথ্যে। ড্রাই থ্রোট হওয়ার সঙ্গে জীবাণু সংক্রমণের সম্পর্ক একেবারেই তাঁর মতে অপ্রাসঙ্গিক। আবার, চুলালোংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর থিরা অয়ারাতানারাতও বলছেন একই কথা। Representational Image


ডাঃ থিরার মত এই যে, ড্রাই থ্রোট জীবাণু সংক্রমণ বাড়ায় না। জীবাণু আমাদের শরীরে কোষ ও শ্বাসনালীর মাধ্যমে প্রবেশ করে ব্রঙ্কিয়া দিয়ে বাহিত হয় এবং ফুসফুসে গিয়ে পৌঁছয়। কাজেই ড্রাই থ্রোট হলেই যে জীবাণু সংক্রমণ হবে তা একেবারেই নয়। পাশাপাশি, যাঁদের অস্বস্তি কাটাতে কাশতে হয়, তাঁদের জল পান করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যদিও তিনি বলেছেন, এটা জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করার কোনও পন্থা নয়। Representational Image