

করোনা অতিমারির মধ্যে কীভাবে হবে দুর্গাপুজোর আয়োজন? গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে তার রূপরেখা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে এ বছরের দুর্গা পুজোর গাইডলাইন প্রকাশ করল রাজ্য সরকার৷ প্রতীকী ছবি


প্যান্ডেল খোলামেলা করেত হবে৷ চারপাশ খোলা রাখতেই হবে৷ চারপাশ ঘেরা থাকলে মণ্ডপের ছাদ খোলা রাখতে হবে যাতে হাওয়া চলাচল করতে পারে এবং সংক্রমণের আশঙ্কা কমে৷ প্যান্ডেলে ঢোকা এবং বেরনোর রাস্তা আলাদা করতে হবে৷ প্যান্ডেলের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দর্শনার্থীদের দাঁড়ানোর জায়গা চিহ্নত করে দিতে হবে৷ প্যান্ডেলের মধ্য বা মণ্ডপ চত্বরে কোথাও ভিড় করা চলবে না৷প্রতীকী ছবি


দর্শনার্থীদের এবং মণ্ডপ চত্বরে থাকা প্রত্যেকের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷ কেউ মাস্ক পরে না এলে পুজো মণ্ডপে প্রবেশের আগেই তাঁদের মাস্ক দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে পুজোর উদ্যোক্তাদের৷ একই ভাবে স্যানিটাইজারের ব্যবহারও বাধ্যতামূলক৷ প্যান্ডেল প্রবেশে বেশ কিছুটা আগে দর্শনার্থীদের স্যানিটাইজার দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে৷প্রতীকী ছবি


ভিড় সামলাতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে৷ এদের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ড দিতে হবে৷প্রতীকী ছবি


অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ এবং সিঁদুরখেলার আয়োজন এমন ভাবে করতে হবে যাতে একসঙ্গে বেশি মানুষ জড়ো না হন৷ ছোট ছোট দলে ছোট ছোট দলে ভাগ করে অঞ্জলির আয়োজন করতে হবে৷ প্রসাদ বিতরণ, সিঁদুরখেলার ক্ষেত্রেও একই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷প্রতীকী ছবি


পুজো প্যান্ডেল চত্বরে বা কাছাকাছি কোথাও কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না৷প্রতীকী ছবি


শারদ সম্মান দেওয়ার ক্ষেত্রেও যথাসম্ভব কম সংখ্যক বিচারক নিয়ে পুরস্কার দেওয়ার প্রক্রিয়া সারতে হবে৷ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মণ্ডপ, প্রতিমা দেখে পুরস্কার দেওয়ার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে৷ একান্তই মণ্ডপে গিয়ে পুরস্কার দিলে একসঙ্গে বিচারকদের সর্বোচ্চ দু'টি গাড়ি একটি প্যান্ডেলে যেতে পারবে৷ পুরস্কার দেওয়ার জন্য সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত বিচারকদের মণ্ডপে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷প্রতীকী ছবি


মণ্ডপে ভিড় এড়াতে বৈদ্যুতিন এবং সামাজিক মাধ্যমগুলির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য পুজো উদ্যোক্তাদের এবং পুলিশকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ কোনও ভাবেই যাতে প্যান্ডেলে এবং রাস্তায় ভিড় না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্যও পুলিশ, পুজো উদ্যোক্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷প্রতীকী ছবি


পুজোর উদ্বোধন এবং বিসর্জন অনুষ্ঠান যথাসম্ভব জাঁকজমক এড়িয়ে করার কথা বলা হয়েছে৷ সম্ভব হলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন অনুষ্ঠান সারতে বলা হয়েছে৷ পাশাপাশি বিসর্জনের ক্ষেত্রেও খুব কম সংখ্যক মানুষ যেতে পারবেন৷ পুজো কমিটিগুলিকে যে সময় বেঁধে দেওয়া হবে, তার মধ্যে গিয়ে নির্দিষ্ট ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে৷ বিসর্জন দিতে যাওয়ার সময় প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা বা কোথাও থামা চলবে না৷ বিসর্জনের ঘাটগুলিকেও স্যানিটাইজ করা হবে৷ মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি৷প্রতীকী ছবি


শারীরিক সংস্পর্শ এড়াতে অনলাইনেই পুজোর অনুমতি দেওয়া হবে৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই অনলাইনে পুজোর অনুমতি দেওয়ার ব্যবস্থা করবে৷প্রতীকী ছবি


ভিড় কমাতে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই যাতে দর্শনার্থীদের ঠাকুর দেখার ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়, সেই মতো পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে পুজো কমিটিগুলিকে৷ গাইডলাইন অনুযায়ী সম্ভব হলে তৃতীয়া থেকেই মণ্ডপ দর্শকদের জন্য খুলে দিতে হবে৷প্রতীকী ছবি


করোনা অতিমারির কথা মাথায় রেখে এবার দুর্গা পুজোর কোনও কার্নিভাল হবে না৷ একই ভাবে কোনও পুজো মণ্ডপ চত্বরে মেলা বা ওই ধরনের কোনও আয়োজন করা যাবে না৷প্রতীকী ছবি