মুখে নয়, থুতনিতে মাস্ক, যেখানে সেখানে থুতু, বাড়ছে সংক্রমণ, কলকাতাবাসীর ‘বেপরোয়া’ মনোভাবে ক্ষুব্ধ ICMR
আসলে এখনও হাতে আসেনি করোনার ভ্যাকসিন। সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সতর্ক থাকা। মাস্ক ব্যবহার করা। কিন্তু, দেশজুড়ে অসচেতনার ছবিটাই ভয়ঙ্কর।


মুখে নয়। থুতনিতে ঝুলছে মাস্ক। কারও আবার সেটাও নেই। করোনার সংক্রমণ নিয়ে কলকাতাবাসীর বেপরোয়া মনোভাব। দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষের জন্যই দেশে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে মনে করছে ICMR। মানুষের এই বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে ক্ষুব্ধ ICMR। তথ্য-ইরন রায় বর্মন


আসলে এখনও হাতে আসেনি করোনার ভ্যাকসিন। সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সতর্ক থাকা। মাস্ক ব্যবহার করা। কিন্তু, দেশজুড়ে অসচেতনার ছবিটাই ভয়ঙ্কর। উদ্বিগ্ন ICMR-ও। তথ্য-ইরন রায় বর্মন


গবেষণায় উঠে এসেছে, মাস্ক ছাড়া হাঁচি, কাশি হলে ড্রপলেট বাতাসে ৮-১২ ফুট পর্যন্ত ছড়াতে পারে। সঠিক মাস্ক ব্যবহারে হাঁচি, কাশির সেই ড্রপলেটই মাত্র ২.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত ছড়াতে পারে। কিন্তু নিয়ম মানছেন কজন? তথ্য-ইরন রায় বর্মন


ICMR-এর ডিরেক্টর বলেন, "বয়স্ক কিংবা অল্প বয়সীরা নন, দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষরা মাস্ক ব্যবহার করছেন না। তার ফলেই দেশে মহামারি আরও ছড়াচ্ছে।"ICMR-এর উদ্বেগ যে ফেলে দেওয়ার মতো নয়, তারই প্রমাণ মিলেছে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে। তথ্য-ইরন রায় বর্মন


উত্তর কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় নিউজ18 বাংলাকে দেখে মুখ ঢাকার চেষ্টা করলেন বেশিরভাগ মানুষ। দেখা যাচ্ছে গড়ে ১০ জন মানুষের মধ্যে তিন জন মাস্ক পড়েছেন না। একই ছবি সব জায়গায়। মানিকতলা হোক কিংবা উল্টোডাঙা। গাড়ি চালক থেকে সাফাই কর্মী, কিংবা আম আদমি। কারও মুখেই মাস্কের বালাই নেই। যেখানে সেখানে থুতু ফেলে চলে যাচ্ছেন পথ চলতি মানুষ। কারও মাস্ক ঝুলছে কানে। কারও আবার পকেট। কারও যুক্তি ধূমপানের জন্য মাস্ক খুলেছেন। তথ্য-ইরন রায় বর্মন


তবে নিউজ18 বাংলাকে দেখতেই সচেতন হওয়ার চেষ্টা। কিন্তু এতে কি কোনও লাভ হচ্ছে?লকডাউনের দিনে দেখা যাচ্ছে কড়াকড়ি। কিন্তু, অন্যান্য দিন কেন এমন বেপরোয়া মনোভাব? আম জনতা সতর্ক না হলে করোনার বিপদ কমবে না। বারবার বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা সত্বেও ছবিটা পালটাচ্ছে না। এই ভাবে চললে বিপদ কোনদিন কি কমবে? মানুষ কিন্তু একটু সচেতন হলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে গোটা সমাজ। তথ্য-ইরন রায় বর্মন