

ভারত সহ সারা পৃথিবীতে করোনা ভাইরাসের দাপটে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা ৷ এই ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য একাধিক দেশে রীতিমতো মাতার ঘাম পায়ে ফেলে রিসার্চ চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা ৷ এখনও অবধি ব্রিটেনে এই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কাজ সবচেয়ে গঠনমূলক জায়গায় পৌঁছে গেছে ৷ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের AZD1222 ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে প্রমাণিত হয়েছে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় প্রভাব বিস্তার করছে এই ভ্যাকসিন ৷ এই ভ্যাকসিন AstraZeneca কোম্পানি তৈরি করবে ৷ ভারতীয় কোম্পানি সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া (SII) এই প্রকল্পের অংশীদার ৷ তারা শুধু এই প্রকল্পের অংশীদার তাই নয়, এই ভ্যাকসিনের ভারতে ট্রায়ালও তারা শুরু করতে চায় ৷ তারা জানিয়েছে লাইসেন্স পেলেই তারা ভারতে এই ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করে মানুষের দেহে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করতে চায় এই ভ্যাকসিন ৷ Photo- Representative


বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া (SII)-র প্রধান অদর পুনাওয়ালা বলেছেন AZD1222 প্রথম পর্বের পরীক্ষায় দারুণ ফলাফল এসেছে ৷ তাই নতুন আশা তৈরি হয়েছে যে এর ফলে মানুষের ওপর রেজাল্ট পজিটিভ হবে ৷Photo- Representative


করোনা থেকে বাঁচাতে খুব দ্রুত ভ্যাকসিনটি তৈরি করেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা৷ সারা গিলবার্টের নেতৃত্বে অক্সফোর্ডের গবেষকদের দাবি, তাঁদের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন টি-সেলস তৈরিতেও সক্ষম। মডার্না, ফাইজারের মতো বিশ্বের বহু সংস্থা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পিছনে ছুটে চলেছে। তাদের কারও প্রথম বা দ্বিতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ এখনও পর্যন্ত দাবি করতে পারেনি যে, তাদের ভ্যাকসিনে অ্যান্টিবডির সঙ্গে টি-সেল্স তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১,০৭৭ জনের ওপর এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা হয়েছে ৷Photo- Representative


ব্রিটেনে ৮০০০ জনের ওপর, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ৬০০০ মানুষের ওপর ট্রায়াল হবে ৷ এবার ভারতের মানুষদের ওপর এর সফল পরীক্ষণ হলে ভারতীয়রাও এই মারণ রোগ থেকে মুক্তি পাবে ৷ সিরম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া ভ্যাকসিনের ১০০ কোটি ডোজ তৈরি করবে ৷ এর ৫০ শতাংশ ভারতে ব্যবহারের জন্য হবে ৷ আর বাকি ৫০ শতাংশ মধ্যম আয়যুক্ত দেশের জন্য ব্যবহার করবে ৷Photo- Representative


সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র খবর অনুযায়ী, খুব বাড়াবাড়ি বা বিপজ্জনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভ্যাকসিনটিতে হয়নি৷ যাঁদের উপর ট্রায়াল হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁদের জ্বর ও মাথাব্যথা হয়েছে৷তবে গবেষকরা বলছেন, এই জ্বর, মাথাব্যথা প্যারাসিটামলে সেরে যাবে৷ সারা গিলবার্টের কথায়, 'আমাদের তৈরি ভ্যাকসিনেই করোনা ভাইরাস অতিমারী নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে, এটা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও আসেনি৷ এখনও অনেক কাজ বাকি৷ তবে প্রাথমিক ফলাফল আমাদের আশা জাগাচ্ছে৷' ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মানুষ যাদের কোমর্বিডিটি নেই তাঁদের ওপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে ৷Photo- Representative