

•বিভিন্ন ধর্মের উৎসবের কথা মাথায় রেখে নয়ডায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে৷ করোনা কালে হোলি, শব-এ-বারাত, গুড ফ্রাইডে, নবরাত্রি, আম্বেদকর জয়ন্তি, হনুমান জয়ন্তি সহ একাধিক পর্বে যাতে ভির না হয়, তার জন্য এই পদক্ষেপ৷ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এভাবেই উৎসবের সময় ১৪৪ ধারা জারি হবে৷ শারীরিক দূরত্ব, মাস্ক পরার মতো নিয়মাবলি তো আছেই তার সঙ্গে৷ এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, কোনও উৎসবেক সময় অসামাজিক কাজকর্ম বেড়ে যায়৷ এক্ষেত্রে করোনা রুখতে নিয়মগুলিকেও অসামাজিক কাজ হিসেবেই মেনে নেওয়া হয়েছে৷ তাই এধরণের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ এছাড়াও জানান হয়েছে যে, বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তি ছাড়া রাস্তায় কোনও লাঠি বা রড নিয়ে চলা ফেরা করতে পারবেন না সাধারণ মানুষ৷


•আবারও করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী৷ সংক্রমণ ফের একবার বৃদ্ধি পাওয়া এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আবেদনের পরে অনেক রাজ্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। করোনার কারণে আহমেদাবাদে আবারও জিম, স্পোর্টস ক্লাব, গেমিং জোন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইভাবে, দিল্লি সংলগ্ন উত্তর প্রদেশ, নয়াডা এবং গাজিয়াবাদে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। ১০২ দিনের পরে, বুধবার, আবারও দেশে করোনার সংক্রমণ হাতে বাইরে চলে গিয়েছে৷ সর্বাধিক ৩৫৮৮৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন৷ আবারও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ মহারাষ্ট্র৷


•মহারাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। গত একদিনে রেকর্ড ২৩১৭৯ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন৷ তাহলে কি দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢউ আসন্ন? এই দুশ্চিন্তায় সকলে৷ বুধবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবারও সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সমস্ত রাজ্যকে করোনার প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করেন। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর, মহারাষ্ট্রে ২৪৬১৯ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৭০৫০৭-তে পৌঁছেছে৷


•এখন যেসব রাজ্য করোনার প্রকোপ কম ছিল তাদের ক্ষেত্রেও নতুন সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পঞ্জাবে ২০৩৯ করোনা আক্রান্তের খবর প্রকাশিত হয়েছে। ১২৭৪ জনকে সুস্থ হয়ে উঠলেও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঞ্জাব ছাড়াও গুজরাট, কর্ণাটক এবং রাজধানী দিল্লিতে করোনা বাড়ছে।


•মহারাষ্ট্র ছাড়াও ১৭ টি রাজ্যে আবারও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এই রাজ্যের মধ্যে পঞ্জাবও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার, এই সংখ্যাটি অনেক রাজ্যে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬ জানুয়ারির পর দিল্লিতে ৫৩৬জন, ২৩ সেপ্টেম্বরের পর বুধবার পঞ্জাবে করোনা আক্রান্ত ২,০৯৯, তামিলনাড়ুতেও ২৯ ডিসেম্বরের পরে ৯৪৫জন, মধ্য প্রদেশে ৩১ ডিসেম্বরের পরে ৮৩২, কর্ণাটকে ৯ ডিসেম্বরের পরে ১২৭৫, গুজরাটে ১৬ ডিসেম্বরের পরে ৮৮৭ জন নতুন করোনা আক্রান্ত। ২৪ জানুয়ারির পরে পশ্চিমবঙ্গে ৩০৩ জন করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে।