

•মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)করোনার ভাইরাসের (corona)অবস্থা ভয়াবহ হয়ে উঠছে দিনদিন। বুধবার রাজ্যে প্রায় ৬০ হাজার জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry)দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৫৯৯০৭জন আক্রান্ত হয়েছেন। ৩০২৯৬ জন সুস্থ হয়েছেন৷ এবং ৩২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।


•একই সঙ্গে রাজধানী দিল্লিতেও (Delhi Coronavirus Situation) টানা দ্বিতীয় দিন পাঁচ হাজারেরও বেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরে লকডাউনের (Lockdown Raipur)সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লকডাউন এবং নাইট কার্ফুর (Night Curfew)মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে মহারাষ্ট্র সহ আরও অনেক রাজ্য ও শহরে, যেখানে করোনার প্রভাব খুবই বেশি।


•এর আগে বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Health Minister Harsh Vardhan)করোনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড়ের সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি মূলত এই সব রাজ্যের সরকারের দায়িত্বহীন আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷


•করোনার সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ফের একবার সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে৷ রাজ্য সরকারগুলির উচিৎ ঠিক করে এর মোকাবিলা করা, বলছেন হর্ষবর্ধন৷ তবে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার করোনার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলেই তাঁর মত।


•প্রকৃতপক্ষে, মহারাষ্ট্র সরকারের দাবি ছিল ১৮ বছরের বেশি বয়সি সমস্ত লোককে টিকা দেওয়ার ছাড় দেওয়া উচিত। এই দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন যে, আমাদেরও ভ্যাকসিনের চাহিদা ও সরবরাহের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এই সময় টিকা দেওয়ার অগ্রাধিকার হল মৃত্যুর হার হ্রাস করা।


•কেন্দ্র থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এখন রাজ্যভিত্তিক কৌশল নেওয়া হয়েছে। আসলে, দেশে কয়েকটি রাজ্য রয়েছে যা অতিমারীতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। সে কারণেই কেন্দ্রের বক্তব্য অনুযায়ী এই সব এলাকা বা রাজ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ যাতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।