Cooch Behar News:ছোট্ট ছুটিতে বেড়িয়ে আসুন খেন বংশীয় রাজাদের তৈরি গোসানিমারি গড়! জানুন কী ভাবে যাবেন!

কোচবিহার শহর থেকে প্রায় ২৯ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত দিনহাটা মহকুমার খলিসা গোসানিমারিতে ছিল কামতাপুর দুর্গ। এটি বর্তমানে গোসানিমারি গড় বা রাজপাট নামে পরিচিত সকলের কাছে। এই গড়ের ঠিক মাঝে একটি দুর্গ ছিল বলে অনুমান করা হয়ে থাকে। (ছবি ও লেখা: সার্থক পন্ডিত)

এখানে খুঁজে পাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে জানা গেছে, যে এটি খেন বংশের রাজাদের আমলে নির্মাণ করা হয়েছিল। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ১৯৯৮ সালের রাজপাটে খননকার্য চালানোর সময় প্রচুর পাথরের মূর্তি, রুপোর মুদ্রা, টেরাকোটার বিভিন্ন সামগ্রী, লোহার চেন, লোহার বালা, তির এবং ঘুঙুর সহ নানান সামগ্রী আবিষ্কার করেন। গোসানিমারি গড় বা রাজপাটের ঠিকানা: Gosanimari, Kamtapur, West Bengal, 736145 (ছবি ও লেখা: সার্থক পন্ডিত)

গোসানিমারি গড়ের প্রবেশের পথে বসানো হয়েছে এই জায়গাটির সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের সম্পর্কে একটি বোর্ড। যেটিকে দেখে যে কোন পর্যটক সহজেই বুঝতে পারবেন এখানের বিষয় সম্পর্কে।
(ছবি ও লেখা: সার্থক পন্ডিত)

বর্তমানে এখানে আর তেমন কিছু খুঁজে পাওয়া না গেলেও। এখানে রয়েছে দুটি রাজ আমলের ইঁটের তৈরি পাত কুয়ো। যেটিকে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে চারিপাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখে। (ছবি ও লেখা: সার্থক পন্ডিত)

সর্বশেষ এখানে একটি পুকুর খননের সময় পাওয়া গিয়েছিল মন্দিরের দু'টি গম্বুজ। সেটিকে আপাতত একটি বাড়িতে পুজো করা হয় ভগবান রূপে। (ছবি ও লেখা: সার্থক পন্ডিত)

এছাড়াও এখানে পাওয়া গিয়েছিল রাজা আমলের মন্দিরে ব্যবহার করা চন্দন কাঠ ঘষার পাথর। সেটিকেও সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। (ছবি ও লেখা: সার্থক পন্ডিত)

এই গোসানিমারি গড়ের একটি পাশে রয়েছে রাজ আমলের খনন করা একটি পুকুর। বর্তমানে এটিকেও সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। (ছবি ও লেখা: সার্থক পন্ডিত)

গোসানিমারি গড়ের পেছনের দিকে একটি সংগ্রহশালা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সেটিকে কোভিড পরবর্তি সময় থেকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। (ছবি ও লেখা: সার্থক পন্ডিত)

এখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোন বিশেষ মূল্য লাগে না। এছাড়া যেকোন যানবাহনের মাধ্যমেই এখানে পৌঁছানো সম্ভব। তবে এখানে বাইরে থেকে কোন খাওয়ার জিনিস নিয়ে প্রবেশ করা যায় না।
কোচবিহারের রাজ আমলের পুরাকীর্তি গুলির মধ্যে অন্যতম হল এই গোসানিমারি গড় বা রাজপাট। এখানে বাইরে থেকেও প্রচুর পর্যটক আসেন জায়গাটিকে দেখতে। বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ এর দায়িত্বে রয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার। (ছবি ও লেখা: সার্থক পন্ডিত)