

আসন্ন বাজেটে কোভিড সেস (Covid-19 Cess) নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। করোনার মোকাবিলায় সরকারের খরচ বেড়ে গিয়েছে। তাই অতিরিক্ত খরচ তুলতে আসন্ন বাজেটে (Budget 2021) কোভিড-১৯ সেস বসানোর কথা চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে। নতুন অর্থবর্ষের বাজেটেই এই কোভিড সেসের কথা ঘোষণা করা হতে পারে। বিশেষ করে উচ্চ আয়ের লোকজনের উপরেই এ ধরনের সেস বসানো হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করছে ব্রোকারেজগুলি, আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে!


Jefferies - এক্ষেত্রে ইয়ার ইন ইয়ারে ট্যাক্স রেভিনিউ গ্রোথ ২০ শতাংশ থেকে ২২.৮tn পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে ফিস্কাল ডেফিসিট ১.২ ppt কমতে পারে। বাজেটে এ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেদিকে তাকিয়ে ব্রোকারেজরা।


Barclays - আশা করা হচ্ছে, প্রায় ১২.২ ট্রিলিয়নের কাছাকাছি হতে পারে প্রস্তাবিত ফিস্কাল ডেফিসিট। অর্থাৎ GDP-এর প্রায় ৫.৫ শতাংশ এটি। সেই সূত্র ধরে আগামী অর্থবর্ষে ৩৪.৭ ট্রিলিয়নের উপরে খরচ বাড়াতে পারে সরকার। এক্ষেত্রে ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে আসন্ন বাজেটে। এর পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ। এক্ষেত্রে GDP-এর ১৪ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে ফিস্কাল ডেফিসিট। অফ ব্যালেন্স সিটও একটি বড় বিষয়।


Nomura - জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে প্যানডেমিক মোকাবিলায় GDP-এর ১.৮ শতাংশ খরচ করতে চলেছে সরকার। এক্ষেত্রে ইউনিভার্সাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি প্রোগ্রাম (Employment Guarantee Programme), ক্যাপিটাল স্পেন্ডিং (Capital Spending), ফার্টিলাইজার স্পেন্ড (Fertiliser Spend)-সহ একাধিক বিষয় রয়েছে। যা GDP-এর ০.৯ শতাংশের কাছাকাছি। জ্বালনির ক্ষেত্রেও শুল্ক বাড়তে পারে। আর এই সমস্ত কিছুর জন্য বাজেট ২০২১-এর দিকে তাকিয়ে রয়েছে সবাই।


Phillip Capital - সবচেয়ে বড় বিষয় হল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট। এক্ষেত্রে সড়ক-পরিবহন, প্রতিরক্ষা, রেলওয়ের উপরে জোর দিতে হবে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তাই ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোজেক্টে বরাদ্দ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলির রি-ক্যাপিটালাইজেশনের দিকে নজর দিতে হবে। কোভিডে বিধ্বস্ত সেক্টরগুলির অর্থনৈতিক ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে ক্রেডিট গ্রোথ বাড়াতে হবে। আর এই সমস্ত প্রত্যাশার উত্তর মিলবে দিন কয়েক পরেই!