চাহিদা তো কমছে না, বরং সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তা বেড়েই চলেছে। তাই বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে অনেকেই ঝুঁকছেন রিয়েল এস্টেটের দিকে। এ দেশে আবাসন প্রকল্প বা রিয়েল এস্টেটে লগ্নিকে সবচেয়ে নিরাপদ উপায়গুলোর একটা বলে মনে করেন বিনিয়োগকারীরা। তাই অর্থাগম হলেই রিয়েল এস্টেটে লগ্নি করেন অনেকে। নিজের প্রাথমিক বাসস্থানের পরও দ্বিতীয় বা তৃতীয় অথবা তারও বেশি জমি, ফ্ল্যাট ইত্যাদি আকর্ষণ করেছে বিনিয়োগকারীদের
তবে রিয়েল এস্টেটে লাভ করতে হলে ধৈর্যের প্রয়োজন। সম্পত্তি কেনার আগে সবকিছু খুঁটিয়ে দেখে নিতে হবে। যাতে সম্পত্তি বিক্রি করার সময় লোকসান না হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্মার্টফোন কেনার আগে আমরা প্রথমে বিভিন্ন কোম্পানির মডেল, ফিচার যাচাই করি। তারপর নিজের চাহিদার সঙ্গে মানানসই একটা মডেল বেছে নিই। রিয়েল এস্টেটের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কোন এলাকায় সম্পত্তি কেনা হচ্ছে, সেই এলাকার সামগ্রিক অবস্থা, সম্পত্তি স্কুল-অফিস-বাজার কতদূর, এই সব কিছু ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত।
স্পষ্ট উদ্দেশ্য থাকতে হবে
থাকার জন্য বাড়ি কেনা হচ্ছে না কি লিজ দেওয়ার জন্য। ক্রেতা কী কারণে সম্পত্তি কিনতে চান, অর্থাৎ কেনার উদ্দেশ্যে নিয়ে যেন স্পষ্ট ধারণা থাকে। রিয়েল এস্টেটে রক্ষণাবেক্ষণ এবং পুণর্নিমাণ করতে হয়। সে জন্য মোটা অঙ্কের মূলধন প্রয়োজন। তাই এই সব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকলে রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়।
অন্যান্য বিনিয়োগের সঙ্গে তুলনা
যদি রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে অন্যান্য বিনিয়োগক্ষেত্রের তুলনা করা হয় তাহলে মিউচুয়াল ফান্ড, ক্ষুদ্র সঞ্চয় বা ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করা অপেক্ষাকৃত সস্তা। রিয়েল এস্টেটে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ এবং সম্পত্তি কর দিতে হয়। অন্য দিকে অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ খুবই কম। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে ব্যয়ের অনুপাত, শেয়ারের ক্ষেত্রে নামমাত্র ডিম্যাট ফি, ব্রোকারেজ ইত্যাদি দিতে হয়। অর্থের প্রয়োজন হলে অল্প অল্প করে টাকা রিডিম করে নেওয়াও যায়। কিন্তু রিয়েল এস্টেটে তেমন কোনও সুবিধা নেই।