১০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ১৬ লক্ষ পর্যন্ত পেতে পারেন, জেনে নিন পোস্ট অফিসের নতুন RD স্কিম সম্পর্কে
বেছে নিতে পারেন পোস্ট অফিসের বিশেষ রেকারিং ডিপোজিট স্কিম। এখানে অল্প বিনিয়োগ করেই নিরাপদে অনেকটা টাকা তোলা যাবে ঘরে। সুদের হারও ভাল। এই স্কিম সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন--


অধিকাংশই টাকা ইনভেস্ট করতে গিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চান না। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা সব সময়ে পোস্ট অফিসের নানা স্কিমের উপর জোর দেন। কারণ, পোস্ট অফিসের স্কিমগুলি তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই নিরাপদ, বেছে নিতে পারেন পোস্ট অফিসের বিশেষ রেকারিং ডিপোজিট স্কিম। এখানে অল্প বিনিয়োগ করেই নিরাপদে অনেকটা টাকা তোলা যাবে ঘরে। সুদের হারও ভাল। এই স্কিম সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন--


পোস্ট অফিসের RD স্কিমের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে বিশদে জেনে নেওয়া দরকার: পোস্ট অফিস RD স্কিমের জন্য সিঙ্গল ও জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের সুবিধা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিনজন প্রাপ্তবয়স্কের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট হতে পারে। অভিভাবকের অধীনে ১০ বছরের উপরে ছেলেমেয়েদের অ্যাকাউন্টও খোলা যায়। এর ম্যাচিওরিটি পাঁচ বছরে হয়। তবে ম্যাচিওরিটির আগে আবেদন জানানোর মাধ্যমে পরবর্তী ৫ বছর বাড়ানো যেতে পারে।


এ ক্ষেত্রে প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০০ টাকা করে জমা করা যাবে অ্যাকাউন্টে। অ্যাকাউন্ট ওপেনিংয়ের সময় নমিনেশন ফেসিলিটিও থাকছে। অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে তিন বছর পর অ্যাকাউন্ট প্রিম্যাচিওরের আবেদন জানানো যাবে। সুবিধামতো এক পোস্ট অফিস থেকে অন্য পোস্ট অফিসেও ট্রান্সফার করা যাবে অ্যাকাউন্ট। প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত লোন নেওয়ার সুবিধাও রয়েছে। IPPB অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইন ডিপোজিটের সুবিধাও পাবেন গ্রাহকরা।


সুদের হিসেব: পোস্ট অফিসে কমপক্ষে পাঁচ বছরের জন্য একটি RD অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। জমা টাকার উপরে প্রতি কোয়ার্টারে সুদের হিসেব হবে। এর পর প্রতি কোয়ার্টার শেষে কমপাউন্ড ইন্টারেস্ট হিসেবে আপনার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত হবে টাকাটি। পোস্ট অফিসের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, RD স্কিমে বর্তমানে সুদের হার ৫.৮ শতাংশ। এই বছর জুলাই মাস থেকেই প্রযোজ্য হয়েছে সংশ্লিষ্ট সুদের হার।


যদি ১০,০০০ টাকা ইনভেস্ট করা যায়, তা হলে ১৬ লক্ষেরও বেশি টাকা পাওয়া যাবে: এই রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে ১০ বছর পর্যন্ত যদি প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা ইনভেস্ট করা যায়, তা হলে ম্যাচিওরিটির সময়ে প্রায় ১৬.২৮ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যদি যথাসময়ে RD ইনস্টলমেন্ট ডিপোজিট না করা হয়, তা হলে ফাইন লাগবে। এ ক্ষেত্রে ইনস্টলমেন্টে দেরি হলে প্রতি মাসে এক শতাংশ (১০০ টাকায় ১ টাকা) করে পেনাল্টি হিসেবে দিতে হবে। এর পাশাপাশি যদি পর পর চারটি ইনস্টলমেন্ট জমা না দেওয়া হয়, তা হলে অ্যাকাউন্টটাই বন্ধ হয়ে যাবে। তবে একবার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে, পরের দু'মাসের মধ্যে আবার অ্যাক্টিভেট করা যেতে পারে অ্যাকাউন্টটি।