

সদ্য চাকরি পেয়েছেন? চাকরি খুব নিশ্চিত নয়? তাতে কী? এটাই সঞ্চয়ের সঠিক সময়। ভাবছেন হাড়মাস এক করে খেটে একটা চাকরি জোটালেন, এখন একটু আরাম করবেন, কোথায় তা নয়, এখন আবার জমানোর কথা ? কিন্তু অল্প বয়স থেকে বিচক্ষণতার সঙ্গে টাকা জমাতে শুরু করলে লাভটা কিন্তু আপনারই। ভবিষ্যতের জন্য তাই একটু একটু করে শুরু করুন জমাতে। প্রথম চাকরি তেমন জুতসই না হলেও, মাঝারি বেতনের হলেও চিন্তার কিছু নেই। যত কম বেতনেরই চাকরি হোক না কেন, সেখান থেকেই সঞ্চয় করার চেষ্টা করুন। এই কয়েকটি উপায় মেনে চললে আফশোস করবেন না।


সঞ্চয় শুরু করতে হবে উপার্জনের প্রথম মাস থেকেই। এখন বিভিন্ন পেশায় দৈনিক আয় বা পারিশ্রমিক কমপক্ষে ৫০০ টাকা। মাসে ২৬টি কাজের দিনে ১৩,০০০ টাকা। প্রথম দিকে মাত্র এক দিনের আয় (অর্থাৎ ৫০০ টাকা) সরিয়ে রাখতে হবে সঞ্চয়ের জন্য। পরে আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাড়াতে হবে সঞ্চয়ের হার। এর ঠিক পরের ধাপে সঞ্চয়ের খাতে সরিয়ে রাখতে হবে আয়ের কমপক্ষে দশ শতাংশ। এই টাকা নিয়মিত লগ্নি করে যেতে হবে ভাল রিটার্ন পাওয়া যায় সুরক্ষিত কোনও প্রকল্পে। উপার্জন বাড়লে বিভিন্ন লগ্নি শুরু করতে পারেন একাধিক প্রকল্পে।


জেনে নিন কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করলে রিটার্ন লাভজনক হবে? ফিক্সড ডিপোজিটস (এফডি) - সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ এটিই। যদিও সাম্প্রতিক অতীতে খুব ঘন ঘন ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার কমিয়েছে ব্যাঙ্ক, তবু যাঁরা প্রথমবার বিনিয়োগ করছেন, তাঁদের জন্য এটিই সবচেয়ে ভালো।


মিউচুয়াল ফান্ডে এসআইপি - বড় মেয়াদে টাকা জমানোর আর একটি ভাল জায়গা মিউচুয়াল ফান্ড। মাসিক কিস্তির ভিত্তিতেও এখানে টাকা রাখা যায়। ব্যালান্সড ফান্ডে দীর্ঘ মেয়াদে লগ্নি করলে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভাল রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। পাওয়া যায় করছাড়ের সুবিধা। বিশেষ বিশেষ লক্ষ্য পূরণের জন্য খোলা যেতে পারে এক বা একাধিক এসআইপি অ্যাকাউন্ট।


ইকুইটি - দীর্ঘমেয়াদি লগ্নি করে যাঁরা বেশি রিটার্ন পেতে চান, তাঁদের জন্য ইকুইটি সবচেয়ে ভালো। বাজার সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকলে অবশ্য এর চেয়ে বেশি রিটার্ন আর কোথাও আশাই করা যায় না।


ইন্সিওরেন্স বা বিমা - স্বাস্থ্যবিমা অথবা জীবনবিমা, দুই-ই জরুরি। কম প্রিমিয়ামেও পলিসি করা যায়, চাকরি জীবনের শুরুতে কম প্রিমিয়ামের পলিসি করাই বুদ্ধিমানের কাজ।