অবসর পরিকল্পনার জন্যে দীর্ঘমেয়াদি এসআইপি-র কোনও বিকল্প নেই। এতে শুধু মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া যায় তাই নয়, ট্যাক্স ছাড়, কমপাউন্ডিংয়ে বৃদ্ধির সুযোগও মেলে। ঝুঁকিও কম থাকে। মুদ্রাস্ফীতিকে ছাড়িয়ে যায় এমন রিটার্ন তৈরি করার ক্ষমতা এবং অন্যান্য সুবিধা তো আছেই। ৬০ বছর বয়সে হাতে ১০ কোটি টাকা থাকবে, এমন মিউচুয়াল ফান্ড এসআইপি-র সন্ধানই এখানে দেওয়া হল।
৬০ বছর বয়সে কীভাবে ১০ কোটি টাকা জমানো যায় সেটা নির্ভর করে হাতে কত বছর আছে এবং বিনিয়োগকারী কতটা ঝুঁকি নিতে পারেন তার উপরে। ধরা যাক, কেউ ৩০ বছর বয়সে এসআইপি শুরু করছেন। তাহলে তিনি হাতে পাচ্ছেন ৩০ বছর। এই পরিস্থিতিতে লার্জ ক্যাপে ১৩ শতাংশ অর্থাৎ ২২,৮৬৬ টাকা, মিড ক্যাপে ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৪,৪৪৪ টাকা এবং স্মল ক্যাপে ১৭ শতাংশ অর্থাৎ ৯,০০৯ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন।
আর যদি কেউ ৫০ বছর বয়সে এসআইপি শুরু করেন তাহলে ১০ কোটিতে পৌঁছতে বিপুল টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। কেমন হবে অঙ্কটা? লার্জ ক্যাপে ১৩ শতাংশ অর্থাৎ ৪,০৯,৭৭৩ টাকা, মিড ক্যাপে ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ৩,৬৩,৩৫০ টাকা এবং স্মল ক্যাপে ১৭ শতাংশ অর্থাৎ ৩,২১,৩১০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। সোজা কথায়, যত কম সময় পাওয়া যাবে, বিনিয়োগের পরিমাণ তত বাড়াতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি ফান্ডের তালিকা দিয়েছেন। যেগুলিতে বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা। সেগুলি হল – লার্জ ক্যাপের জন্য এইচডিএফসি টপ ১০০ ফান্ড, এসবিআই ব্লু চিপ ফান্ড, আইসিআইসিআই প্রু ব্লু চিপ ফান্ড। মিড ক্যাপের ক্ষেত্রে কোটাক ইমার্জিং ইক্যুইটি ফান্ড, এসবিআই ম্যাগনাম মিডক্যাপ ফান্ড এবং পিজিআইএম ইন্ডিয়া মিডক্যাপ ওপিপি ফান্ড। স্মল ক্যাপের ক্ষেত্রে নিপ্পন ইন্ডিয়া স্মল ক্যাপ ফান্ড, কোটাক স্মল ক্যাপ ফান্ড এবং কোয়ান্ট স্মল ক্যাপ ফান্ড-এ বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে।