১. ভবিষ্যতের জন্য একটি জরুরি তহবিল তৈরি রেখে তবেই টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে অন্তত তিন থেকে ছ’মাসের সার্বিক খরচ বা সম্পূর্ণ বেতন তুলে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। তারপর দেখে নিতে হবে ওই তরুণের সঠিক বিমা কভার রয়েছে কিনা৷
২. জীবনের এই নিরাপত্তাটুকু থাকলে বাকি অর্থ বিনিয়োগের কথা ভাবা যেতে পারে, সেক্ষেত্রে এসআইপি-র মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ড চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ দেয়, যা তরুণ বিনিয়োগকারীর জন্য সেরা।
৩. এবার বিকল্প বিনিয়োগের কথা ভাবা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কর্পোরেট বন্ড, প্রপার্টি লিজিং, রিয়েল এস্টেট, স্টার্ট-আপ ইক্যুইটির মতো বিকল্পের কথা ভাবা যেতে পারে। বাজার অস্থিরতার কথা ভেবে রাখলে বিনিয়োগ যোগ্য অর্থের ১০-১৫ শতাংশ ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ করা উচিত।
মিউচুয়াল ফান্ডে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। কোনও কোনও মিউচুয়াল ফান্ড করছাড়ের সুযোগ মেলে, কোনটায় ঝুঁকি বেশি, কোনটা নিরাপদ। এদের আবার কিছু নিজস্ব নিয়ম আছে। যেমন আয়কর ছাড় পাওয়া যায় যে সব মিউচুয়াল ফান্ডে সেখানে ৩ বছর টাকা তোলা যায় না কোনও ভাবেই। ফলে নিজের প্রয়োজন ও সাধ্য মতো বিনিয়োগ করতে হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে উপযুক্ত পরামর্শতার সঙ্গে কথা বলে নেওয়া দরকার।