প্রশ্ন হল, কম দামে এত সুন্দর ডিজাউনের সোনার গয়না নবনীতা পেলেন কীভাবে? এর কারণ হল, ৮ গ্রামের আংটি ১৪ ক্যারাট সোনায় তৈরি, যা ১৮ ক্যারাটের চেয়ে ২২ শতাংশ এবং ২২ ক্যারাট সোনার চেয়ে ৩৬ শতাংশ সস্তা। নবনীতা একা নন, সোনার দাম বৃদ্ধি এবং বাজেট কম থাকার কারণে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় ১৪ ক্যারাট সোনার গয়নাতেই সন্তুষ্ট হচ্ছেন।
এই মুহূর্তে ১৪ ক্যারাট সোনার গয়নাই ট্রেন্ডিং। এই ধরনের গয়নায় অন্যান্য ধাতুর সঙ্গে মিশ্রিত খাঁটি সোনার পরিমাণ ৫৮.৩ শতাংশ। যা নবনীতার মতো দামসচেতন ক্রেতাদের কাছে এটাকে করে তুলেছে সাশ্রয়ী এবং টেকসই। যদিও গয়না তৈরির চার্জে কোনও পার্থক্য নেই। প্রায় ১০ বছর আগে তনিষ্ক চালু করে মিয়া ব্র্যান্ড। ব্যবহারযোগ্য এবং দাম কমানোর উপরেই মূল ফোকাস করা হয়েছিল। তনিষ্কের মিয়ার বিজনেস হেড শ্যামলা রামানন বলছেন, ‘আমরা এমন গয়না তৈরি করতে চেয়েছিলাম যা মজবুত হবে আর দামও কম হবে। আমাদের ফোকাস ছিল এমন গয়না তৈরি করা যা মানুষ লকারে রাখার পরিবর্তে, পরবেন। নিত্যদিন ব্যবহার করবেন’।
১৪ ক্যারাটের সোনার গয়নার দাম ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী ক্রেতাদের মন জয় করতেই এই গয়নার ডিজাইন করা হয়েছে। কম দামের কারণে উপহার হিসেবেও দেওয়া যায়। রামাননের মতে, মিয়ার বিক্রির প্রায় ৫০ শতাংশ আসে উপহার থেকে, বেশিরভাগই উৎসবের মরশুমে। দাম কম থাকার আরেকটি সুবিধা হল, অনলাইনে অনেক মানুষ সহজেই কেনাকাটা করতে পারেন। এমনকী অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হওয়া গয়নার তুলনাতেও এর দাম কম।
যাই হোক, এই গয়না জুয়েলার্সের কাছে বিক্রি করতে চাইলে, খাঁটি সোনার গয়নার ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ এবং হিরে এবং রত্নপাথরযুক্ত গয়নার ক্ষেত্রে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ ছাড় মেলে। ১৮ ক্যারাট এবং ২২ ক্যারাট সোনার গয়নার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। তবে একমাত্র অসুবিধা হল, ১৪ ক্যারাট সোনার গয়নার বিপরীতে ঋণ মেলে না। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক সহ বেশিরভাগ ব্যাঙ্ক শুধুমাত্র ১৮ ক্যারাট বা তার বেশি মানের সোনার বিপরীতে ঋণ দেয়।