

*করোনা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে একযোগে লড়ছে সবাই। ব্যবসায়িক সংস্থা, নানা কোম্পানি থেকে শুরু করে প্রতিটি কর্মক্ষেত্র উৎপাদন ও আয় বাড়ানোর জন্য মরিয়া। গ্রাহকদের চাহিদা ও বিশ্বাস ফেরাতে ইতিমধ্যেই নানা পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই এবার দেশের কোম্পানিগুলি তথা একাধিক সংস্থায় ৭.৩ শতাংশ পর্যন্ত গড় বেতন বৃদ্ধি হতে পারে। এমনই তথ্য উঠে এল DTTILLP (Deloitte Touche Tohmatsu India LLP)-এর সমীক্ষায়। প্রতীকী ছবি।


*DTTILLP-এর ২০২১ ওয়ার্কফোর্স অ্যান্ড ইনক্রিমেন্ট ট্রেন্ডস সার্ভে (2021 Workforce and Increment Trends Survey) অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪.৪ শতাংশ বেশি হবে গড় বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ। তবে ২০১৯ সালের তুলনায় কম হবে এই বৃদ্ধি। এক্ষেত্রে, সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৯২ শতাংশ কোম্পানি এই বছর বেতন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রতীকী ছবি।


*গত কয়েক মাসের সামগ্রিক পরিস্থিতির রূপরেখা বিচার করে তৈরি করা হয়েছে এই সমীক্ষা। এক্ষেত্রে সাতটি সেক্টর ও ২৫টি সাব সেক্টরের প্রায় ৪০০ সংস্থার উপরে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এই বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি অনেক সংস্থার ক্ষেত্রে ডবল ডিজিল ইনক্রিমেন্টের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। প্রতীকী ছবি।


*সমীক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে প্রায় ১২ শতাংশ কম্পানি ডবল ডিজিল ইনক্রিমেন্টের পথে হেঁটেছিল। এবার সেই সংখ্যাটা ২০ শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে। ৩০ শতাংশের মতো সংস্থা গত বছরের ঘা মেটাতে একটু বেশি ইনক্রিমেন্ট বা অতিরিক্ত বোনাস দেওয়ার পথেও হাঁটতে পারে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে IT সেক্টরগুলি ও ই-কমার্স সংস্থাগুলি। প্রতীকী ছবি।


*এই বিষয়ে DTTILLP-এর কর্মকর্তা আনন্দরূপ ঘোষ (Anandorup Ghose) জানিয়েছেন, করোনার জেরে খুব একটা ভালো কাটেনি ২০২০। তাই বছর অর্থনীতির হাল ফেরাতে এবং সংস্থাগুলির কাজে গতি আনতে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা ২০১৯ সালের থেকে কম। এক্ষেত্রে বর্তমানে বছরের গড় বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ ৭.৩ শতাংশ। সেই জায়গায় ২০১৯ সালে গড় বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ৮.৬ শতাংশ। প্রতীকী ছবি।


*তাঁর কথায়, গত বছর মার্চ মাসের পর অধিকাংশ সংস্থাই বেতন বৃদ্ধির পথে হাঁটেনি। অনেকে বেতন দেওয়ার সময় পিছিয়ে দিয়েছে। অনেকে আবার সিনিয়র ম্যানেজমন্টে বেতন কমানোর পথে হেঁটেছে। বহু সংস্থা বিপাকে পড়ে বেতন কমানোর পাশাপাশি কর্মী ছাঁটাইও করেছে। প্রতীকী ছবি।


*দেশে ২০১৯ সালে ভলান্টারি অ্যাট্রিশন (Voluntary Attrition) ছিল ১৪.৪ শতাংশ। এক বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২০ সালে তা কমে হয় ১২.১ শতাশ। অন্য দিকে, IT সার্ভিস সেক্টরে বেড়েছে ইনভলান্টারি অ্যাট্রিশন (Involuntary Attrition)। আর এই পরিস্থিতির সূত্র ধরেই আগামী দিনগুলিতে বেতন বৃদ্ধি-সহ একাধিক পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। প্রতীকী ছবি।


*করোনার থাবা থেকে ব্যবসাকে বাঁচাতে বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে হবে। এমনই মনে করছেন আনন্দরূপ ঘোষ। তাঁর কথায়, বেশিরভাগ সংস্থাই তাদের HR বিভাগ, এমপ্লয়ি ওয়েলনেস অর্থাৎ কর্মীদের স্বার্থ রক্ষা এবং লার্নিং ও ডেভেলপমেন্ট সেগমেন্টে জোর দেবে। তবেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য সম্ভব! প্রতীকী ছবি।