

দেশের স্বর্ণব্যবসায়ীদের কথা রাখলেন নির্মলা সীতারামন। বাজেট ঘোষণার সময়ে জানিয়ে দিলেন সোনা ও রূপোর ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক পর্যালোচনা করবে কেন্দ্র। অর্থনীতিবিদরা বলছেন আমদানি শুল্ক কমলে জোড়া লাভ। একদিকে কমতে পারে সোনা-রুপোর দাম। অন্য দিকে কমবে চোরা পথে সোনা আমদানিও বন্ধ হবে। সব মিলিয়ে সরকারের আয় বাড়বে বই কমবে না।


ভারতে সোনার দামের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত হয় আমদানি শুল্ক এবং ৩ শতাংশ জিএসটি। এই আমদানি শুল্ক কমলে স্বাভাবিক ভাবেই সোনার আম কমবে। সেক্ষেত্রে গ্রাহক টানতে পারলে ব্যবসায়ীরাই উজ্জীবীত হবে মনে করছে বণিক মহল।


দেশের স্বর্ণব্যবসায়ীরা চাইছেন এই শুল্কের পরিমাণ ৪ শতাংশে নিয়ে আসুক কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে অনেকটাই পড়ে যাবে সোনার দাম।


নির্মলা সীতারামন এদিন বলেন, আগে সোনার জন্য কাস্টম ডিউটি দিতে হত ১০ শতাংশ। আমরা সেটাকে ১২.৫ শতাংশ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমরা আরও শুল্ক হ্রাসের বিষয়টিরে অগ্রাধিকার দিয়ে বিচার করছি।


সোনায় যদি আমদানি শুল্ক কমানো হয়, তা হলে কি স্মাগলিং রোখা যাবে? জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের বক্তব্য- তা নিঃসন্দেহেই উপকারে আসবে। বর্তমান তথ্য বলছে যে এই দেশে বছরে ৮০০ টন সোনা আমদানি করা যায়। কিন্তু ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে আমদানি হয়েছে ১০০০ টন। অর্থাৎ বাকিটা আসছে চোরাপথে। রিপোর্ট বলছে যে প্রতি বছরেই দেশে অন্তত ১৫০-২০০ টন সোনা স্মাগল হয়ে আসে। দীনেশের দাবি- আমদানি শুল্ক কমে গেলে এই পরিস্থিতি তৈরিই হবে না!