গত চার বছরে তামাকের উপর কর বাড়েনি
দেশে জিএসটি কার্যকর হওয়ার পর থেকে তামাকজাত পণ্যের উপর করের বোঝা বাড়ায়নি মোদি সরকার। কেন্দ্র সূত্রের খবর, ভারতে তামাকজাত দ্রব্যের উপর যা কর চাপানো হয় তা আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় যথেষ্ট কম। বিদেশের বাজারে আরও বেশি কর চাপানো হয়ে থাকে এই সমস্ত পণ্যের উপর। অন্তত ৭৫ শতাংশ কর চাপানোর সুপারিশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO। প্রতীকী ছবি ৷
কিন্তু ভারতে তত কর এখনও চাপানো হয়নি। বর্তমানে বিড়িতে ২২ শতাংশ, সিগারেটে ৫৩ শতাংশ এবং গুটখা, পানমশলার মতো ধোঁয়াবিহীন তামাকে ৬৪ শতাংশ হারে কর নেওয়া হয়। নিয়মিত তামাক সেবনে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিবছর ভারতে তামাক সেবনের কারণে মৃত্যু হয় ১৩ লাখ মানুষের। তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় বছরে খরচ হয় ১.৭৭ লক্ষ কোটি টাকা। প্রতীকী ছবি ৷
তামাকজাত পণ্যে উচ্চ কর আদায়ে কমিটি গঠন
তামাকজাত পণ্যে নতুন কর নির্ধারণের জন্য ইতিমধ্যেই নয় সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছে কেন্দ্র। গত বাজেটেই এই কমিটির তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। তা তৈরি হয় ২০২১ সালের অক্টোবরে। তবে এখনও সেই কমিটি কোনও সুপারিশ জমা দেয়নি। তবে তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমাতে তারা উচ্চ হারে কর আরোপের পরামর্শ দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতীকী ছবি ৷
হু-র পরামর্শ মানা হতে পারে
তবে বিশেষজ্ঞ কমিটি সুপারিশ না করলেও WHO-র সুপারিশ অনুযায়ী বাজেটে তামাকজাত পণ্য কর বাড়ানো হবে বলেই জানা গেছে। তবে এই আশঙ্কা করে পিএইচডি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা বণিকসভার তরফে বলা হয়েছে, তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর বাড়ালে কালোবাজারি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা। প্রতীকী ছবি ৷