

ক্রেডিট কার্ড বর্তমান দৈনন্দিন জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি আসার পর থেকে অনেক ক্ষেত্রে কেনাকাটায় সুবিধা হয়েছে। হাতে টাকা না থাকলেও নানা দামি জিনিস কেনার ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে নানা রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ক্যাশব্যাকে অফারও পাওয়া যায়। কিন্তু সুবিধার পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে একাধিক অসুবিধা ও সমস্যাও রয়েছে। এক্ষেত্রে যাঁরা প্রথমবার ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন জানাচ্ছেন, তাঁদের বেশ কিছু বিষয় ভালো করে জেনে নিতে হবে। আসুন বিশদে জেনে নেওয়া যাক!


ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে ১৮ বছর বয়স হতে হবে। ন্যূনতম বেতন এক থেকে তিন লক্ষের মধ্য হতে হবে। যা ক্ষেত্র বিশেষে পরিবর্তিত। তাই জীবনের প্রথম ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদনের পূর্বে ক্রেডিট কার্ডের আবেদনের শর্তাবলীতে ভালো করে চোখ বুলিয়ে নিতে হবে।


বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। এক্ষেত্রে নিজের ওজন বুঝে সঠিক ক্রেডিট কার্ডটি বেছে নিতে হবে। ক্রেডিট কার্ড নির্বাচনের সময় নিজের চাহিদা, প্রয়োজন, আয়-ব্যয়, মাসিক ও বার্ষিক আয়ের দিকটাও দেখতে হবে। যে ক্রেডিট কার্ডের অ্যানুয়াল ফি কম, প্রথমবার সেই ধরনের কার্ড নির্বাচন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে যে সংস্থা ক্রেডিট কার্ড দিচ্ছে, তারাও এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে। ধীরে ধীরে বেতন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের অপশনও বেড়ে যায়।


অ্যানুয়াল পার্সেন্টেজ রেট (APR) নিয়ে ভালো করে পড়াশোনা দরকার। অ্যানুয়াল পার্সেন্টেজ রেটের মেয়াদ থেকে শুরু করে শর্তাবলী-সহ যাবতীয় বিষয়ে নজর দিতে হবে। বিভিন্ন চার্জ অর্থাৎ জয়েনিং ফি (Joining Fee), অ্যানুয়াল ফি (Annual Fee), রিওয়ার্ড পয়েন্ট (Reward Point) এবং এই সম্পর্কিত একাধিক তথ্য সম্পর্কে বিশদে জানতে হবে। এগুলি সম্পর্কে যথাযথ ধারণা থাকলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না। এগুলির পাশাপাশি ক্রেডিট লিমিটের বিষয়টি নিয়েও সজাগ থাকতে হবে।


ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার পর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ক্রেডিট স্কোর (Credit Score)। এক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে সময়মতো পেমেন্টের উপরে। কোনও ভাবেই পেমেন্ট মিস করা যাবে না। ক্রেডিট কার্ডের ডিউ ক্লিয়ার করার জন্য একটি অতিরিক্ত সময় বা গ্রেস পিরিয়ড থাকে। বিলিং সাইকেলের শেষ থেকে পরবর্তী বিলিংয়ের তারিখের মাঝেই এই গ্রেস পিরিয়ড দেওয়া হয়। কিন্তু যদি সময় মতো পেমেন্ট না হয়, তা হলে বড়সড় সুদের মাশুল গুনতে হবে। আর বার বার পেমেন্ট মিস হলে প্রভাব পড়বে ক্রেডিট রেটিংয়ের উপরে। যা ক্রেডিট স্কোরের পয়েন্ট কমিয়ে দেবে। এক্ষেত্রে বড় কোনও লোন বা অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে।