

দেশজুড়ে এক দেশ এক রেশন কার্ড জারি হওয়ার পর রেশন কার্ড থাকা আরও জরুরি হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের কাছে ৷ সস্তায় রেশনের পাওয়ার পাশাপাশি পরিচয়পত্র হিসেবেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেশন কার্ড ৷ এক দেশে এক রেশন কার্ড যোজনা লাগু হওয়ার পর দেশের যে কোনও প্রান্তে সস্তায় রেশন পাওয়া যাবে ৷ এবং তার জন্য কোনও নতুন কার্ড তৈরি করতে হবে না ৷ যে কোনও ব্যক্তির কাছেন রেশন কার্ড থাকা আধার ও প্যান কার্ডের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ৷ আপনার যদি রেশন কার্ড না থাকে তাহলে চিন্তার কোনও কারণ নেই ৷ এবার বাড়িতে বসেই স্মার্টফোনের মাধ্যমে অনলাইনে রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন ৷ সমস্ত রাজ্য এর জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছে ৷ আপনি যে রাজ্যের বাসিন্দা সেই রাজ্যের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন ৷


রেশন কার্ড তিন প্রকারের হয়ে থাকে --দারিদ্রসীমার উপরে (APL)-দারিদ্রসীমার নীচে (BPL)-Antyodaya Ration Card- অন্ত্যোদয় ক্যাটাগরিতে বিপুল সংখ্যক গরিব পরিবার রয়েছে ৷ এই ক্যাটাগরি যে কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয়ের উপর নির্ভর করে ৷


আলাদা আলাদা রেশন কার্ডে সস্তায় পাওয়া জিনিস ও তাদের মাত্রাও আলাদা হয় ৷ গ্রামীণ না শহরাঞ্চলের বাসিন্দা কার্ড হোল্ডার সেই ভিত্তিতেও আলাদা হয় রেশন কার্ড ৷


রেশন কার্ড তৈরি করার জন্য -- ব্যক্তিকে ভারতের নাগরিক হতে হবে ৷- আবেদনকারী ব্যক্তির কাছে অন্য রাজ্যের রেশন কার্ড থাকলে হবে না ৷-যার নামে রেশন কার্ড তৈরি হচ্ছে তার বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে ৷-১৮ বছরের কম বয়সী বাচ্চার নাম তার বাবা মায়ের রেশন কার্ডে সামিল করা হয় ৷-পরিবারের প্রধানের নামে রেশন কার্ড হয়ে থাকে ৷-পরিবারের কোনও সদস্যর অন্য রেশন কার্ডে না থাকা চলবে না ৷


রেশন কার্ড তৈরির জন্য নিজের রাজ্যের সরকারি ওয়েবসাইটে লগইন করুন ৷এরপর Apply online for ration card লিঙ্কে ক্লিক করুন ৷রেশন কার্ড তৈরির জন্য আইডি প্রুফ হিসেবে আধার কার্ড, ভোটার আইডি, পাসপোর্ট, হেলথ কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স আইডি প্রুফ হিসেবে দেওয়া যেতে পারে ৷রেশন কার্ড তৈরির জন্য ৫ থেকে ৪৫ টাকা চার্জ দিতে হতে পারে ৷ আবেদন পত্র ফিল আপ করার পর চার্জ জমা দিন ও অ্যাপ্লিকেশন জমা দিন ৷ফিল্ড ভেরিফিকেশন হওয়ার পর আপনার আবেদন সঠিক পাওয়া গেলে রেশন কার্ড তৈরি হয়ে যাবে ৷