২০০০ টাকা নোট বাতিলের ঘোষণার পরই নানা মহল থেকে একাধিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়েছে। সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন। আবার আগের মতো সমস্যায় পড়তে হবে না তো! মধ্যপ্রদেশের আর্থিক রাজধানী ইন্দোরের বাসিন্দারা চোখ রেখেছেন টিভি, সংবাদপত্র, সোশ্যাল মিডিয়ায়। কে কী বলছেন, কী হতে চলেছে – সমস্ত খুঁটিনাটিতে নজর রাখছেন তাঁরা। কারণ ২০০০ টাকার নোট বাতিল নিয়ে প্রশ্ন অনেক, কিন্তু উত্তর অজানা। সেই সব অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই প্রবীণ চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট শ্যাম ভাটিয়ার সঙ্গে কথা বলল নিউজ ১৮।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছে, ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট বৈধ থাকবে। এর মধ্যে ব্যাঙ্কে নোট জমা দেওয়া কিংবা বদলে নেওয়া যাবে। আগের নোট বাতিলের সময় ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়। সেই নিয়ে সারা দেশে বিশৃঙ্খলা দেখা গেলেও এবার তেমন কিছু হবে না।
কেন? শ্যাম ভাটিয়া বলেন, ‘আরবিআই-এর প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে প্রত্যাহার করা হবে, তবে যাঁদের কাছে আছে তাঁরা ২০২৩-এর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় গিয়ে তা বদলে নিতে পারবেন। বা নিজের অ্যাকাউন্টে জমাও করতে পারেন। তাই কারও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ ২০০০ টাকার নোট অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যায়নি। সাধারণ মানুষ এখনও লেনদেনের জন্যে এই নোট ব্যবহার করতে পারেন। হাতে পর্যাপ্ত সময় আছে’।
পুঁজির বাজারে এই প্রভাব খুব একটা পড়বে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা মনে করেন, ২০১৬ সালে যে প্রভাব দেখা গিয়েছিল, এবার সেরকমটা হবে না। কারণ ২০০০ টাকার নোট সাধারণ মানুষের কাছে এমনিতেই কম আছে। অন্য দিকে, সারা দেশেই ব্যাপক হারে চলছে অনলাইন লেনদেন। ফলে এই সিদ্ধান্তে বিরূপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই।