দিন বদলেছে। সংসার সামলেও সৎ ভাবে রোজগার করার নানা পথ খুলে যাচ্ছে। অনেক মহিলাই আবার এক সময় চাকরি করতেন, সন্তানের মুখ চেয়ে সে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তাঁরা আবার কাজ করতে পারেন, বাড়ি থেকে, শুরু করতে পারেন নিজের ব্যবসা। করোনা অতিমারী অভ্যস্ত করে দিয়েছে বাড়ি থেকে কাজ করার প্রবণতায়। জেনে নেওয়া যাক ১০টি ব্যবসার কথা, যা মহিলারা নিজের সাধ্য মতো বাড়ি থেকে করতে পারেন—
১. হেল্থ কেয়ার—
না, হেল্থ কেয়ার মানে নার্সিং ট্রেনিংয়ের প্রয়োজন নেই। বরং যাঁরা নাচতে পারেন, যোগা করতে পারেন। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ছিল এক সময়, তাঁরা আবার নতুন করে শেখানোর কাজ শুরু করতে পারেন। এখন অনলাইনেও এসব ক্লাস করা সহজ। বাড়িতে একটু জায়গা থাকলে তো কথাই নেই।
ধ্যান, প্রাণায়াম, যোগ ব্যয়ামের ক্লাস করানো যেতে পারে। জুম্বাকেও বেছে নেওয়া যেতে পারে আর্ট ফর্ম হিসেবে।
২. খাবার—
নিজের বাড়িতে ছোট্ট একটু জায়গা, আর দারুন আইডিয়া থাকলে সাজিয়ে ফেলা যায় কাফে। চা, কফি, জলখাবারের আয়োজন রাখলে আর পরিবেশ মনোগ্রাহী হলে তরুণ প্রজন্ম আসবেই।
আর একটু বড় করে ভাবতে চাইলে রেস্তোরাঁই খুলে ফেলা যায়।
আর নিজের রান্নাবান্নার শখ থাকলে একেবারে নিশ্চিন্তে খুলে ফেলা যেতে পারে কেটারিং ব্যবসা। বাড়ি থেকে রান্না করে তা পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে ছোটখাটো উৎসবে।
৩. বিউটি কেয়ার—
প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ থাকলে নিজের বাড়িতেই স্পা বা সালঁ খুলে ফেলা যেতে পারে ছোট পরিসরে। নিজের সৃজনশীলতা আর প্রযুক্তিতে ভর করে নেল আর্ট স্টুডিও খোলা যেতে পারে। আজকাল এর জনপ্রিয়তা প্রবল।
কনে সাজানোর বিষয়টিও আজকাল নতুন মাত্রা পেয়েছে। সাজগোজ ভালবাসলে এই বিষয়টিকে নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
৪. লেখালিখি—
আজকাল লেখালিখি নিয়েও কেরিয়ার গড়া যায়, সবটাই ফ্রিলান্স।
বিভিন্ন আইটি সংস্থা নানা ধরনের লেখালিখির জন্য লেখক খোঁজে। ভাষার দখল থাকলে তা করা যেতেই পারে। বিজ্ঞাপনী সংস্থাতেও এধরনের কাজ পাওয়া যায়।
আর নিজের খুশিতে লেখার জন্য ব্লগিং তো রয়েছেই। নিজের ব্লগ তৈরি করে নিয়ে নিজের মতামত রাখা যেতেই পারে। তা থেকে উপার্জনও হতে পারে।
৭. নারী কেন্দ্রিক পণ্যের ব্যবসা—
একান্তই মেয়েদের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যবসা করা যেতে পারে। বাড়ি থেকে একাজ করা খুব সহজ। যেমন স্যানিটারি ন্যাপকিন, মেনস্ট্রুয়াল ক্যাপ বা অন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন হট ওয়াটার ব্যাগ, ক্র্যাম্প রোল অন। এগুলি জরুরি প্রয়োজনে প্রতিবেশীদের ঘরে পৌঁছে দিতে পারলে আরও সুবিধা হতে পারে।