

আঁচলে বিবিধ পৌরাণিক ও অন্যান্য নকশা-বোনা এই শাড়ি আভিজাত্যের প্রতীক হিসাবে গণ্য৷ বিষ্ণুপুরের স্বনামধন্য বালুচরী শাড়ি এবং বালুচরি শিল্প সম্বন্ধে জানতে শিল্পী অরুণ দে জানালেন না জানা বহু তথ্য।

অষ্টাদশ শতাব্দীতে, বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ ঐতিহ্যের পৃষ্ঠপোষকতা করেন এবং এই শাড়ি তৈরির নৈপুণ্যকে ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদের বালুচর গ্রামে নিয়ে আসেন এবং এই শিল্পকে উৎসাহিত করেন।

পরবর্তীকালে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে এই শিল্প বিশেষ প্রসার পায়।

বালুচরী শাড়ি হাতে করে বুনে তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় জ্যাকার্ড মেশিন। জ্যাকার্ড মেশিনের মধ্যে ধাতুর পাতের উপরে বিভিন্ন ডিজাইন করা থাকে এবং সেই ডিজাইন গুলি অনুসরণ করে হাতে করে বুনে তৈরি করতে হয় এই বিশেষ শাড়ি।

শিল্পী জানান "এক একটি ভাল বালুচরি শাড়ি তৈরি করতে সময় লাগে প্রায় তিন মাস। ব্যবহার করা হয় প্রাকৃতিক রং। দুর্দান্ত নৈপুূর্ণ তার সাথে তৈরি হয় ইন ডিটেল শাড়ি।"

বাঁকুড়ার মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর। বিষ্ণুপুরে যেরকম অপূর্ব টেরাকোটার কাজ রয়েছে সেরকমই আরেকটি দুর্দান্ত শিল্প হল বালুচরী শিল্প।

বিষ্ণুপুরের এই বালুচরী পৌছে গেছে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন জায়গায়। ২০২৫ এর বুকে দাঁড়িয়ে বালুচরি শাড়ির ব্যবসার ভিত আজ যথেষ্ট মজবুত।

তাঁতিদের পরিশ্রম এবং তার সঙ্গে অনলাইন টেকনোলজি, এই দুইয়ের মেইল বন্ধনে যেন নতুন রূপ পেয়েছে বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী এই বালুচরি।