#ধূপগুড়ি: ট্রেনে মারধর করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা। প্রাণে বাঁচতে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন যুবক। ধূপগুড়ির কামারপাড়ার ঘটনা। জখম যুবক আশঙ্কাজনক অবস্থায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্যদিকে, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে এক যুবকের দেহ। মাদক খাইয়ে লুঠের পর চলন্ত ট্রেন থেকে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
বারবার এই ধরণের ঘটনায় রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিপদের রেলযাত্রা। আবারও প্রশ্নের মুখে রেলের নিরাপত্তা। চলন্ত ট্রেনে বিপদে পড়ে রেলপুলিশ বা রেলকর্মী কারও সাহায্য না মেলার অভিযোগ। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার।
রাত ৩.৩৫
অসম থেকে ডাউন অবোধ অসম এক্সপ্রেসে ওঠেন হরিয়ানার বাসিন্দা অরবিন্দ কুমার যোগী। তেজপুরে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে রেখে একাই ফিরছিলেন তিনি। কামরায় আরও চারজন ছিল। অরবিন্দের অভিযোগ, প্রথম থেকে তাঁকে টিকা টিপ্পনি করছিল তারা।
সকাল ৬. ৪৫
অরবিন্দর অভিযোগ, ট্রেন ধূপগুড়ি স্টেশন ছাড়তেই তাঁর উপর চড়াও হয় ৪ যুবক। তাঁকে মারধর করে সর্বস্ব লুঠের চেষ্টা করে। সাহায্যে এগিয়ে আসেননি কেউ। দেখা মেলেনি আরপিএফ বা কোনও রেলকর্মীরও। প্রাণে বাঁচতে ধূপগুড়ি ও কামারপাড়া স্টেশনের মাঝে আলতাগ্রামে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন তিনি ।
অরবিন্দকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। তাঁর ডানহাত ভেঙে গেছে। মাথায় গুরুতর আঘাত। অভিযোগ, তার পরও দায়িত্ব নিতে চায়নি রেল বা রাজ্য পুলিশ। চার ঘণ্টা ব্যান্ডেজ বাধা অবস্থায় পড়ে থাকেন তিনি। পরে ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের উদ্যোগে তাঁকে ভরতি করা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
এদিকে এদিনই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে এক যুবকের দেহ। তাঁর পকেট থেকে পাওয়া গেছে ভোটার কার্ড। মৃতের নাম কিশোরকুমার নাথ। গুয়াহাটির বাসিন্দা। মাদক খাইয়ে লুঠের পর চলন্ত ট্রেন থেকে তাঁকে ফেলে দেওয়া হয় বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। বার বার এই ধরণের ঘটনায় রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।