ঝাড়গ্রাম: পশ্চিম মেদিনীপুর এবং জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামে বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলে বাস করে হাতিরা। জঙ্গলমহলে আনাগোনা থাকে হাতি দলের। কিন্তু পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়ালো জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামে।
ঝাড়গ্রামের লালগড়ের লকাটে ফের পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে হাতিটির। তবে এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ এলাকাবাসি। ঘটনা স্থলে বনদপ্তরের আধিকারিক ও পুলিশ আসে।
আরও পড়ুন- স্বনির্ভরতায় নয়া দিশা! নতুন করে স্বপ্ন দেখছে স্কুলছুট কিশোরীরা
ডাক্তার এসে ময়না তদন্ত কররার পর হাতিটি কে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে দাহ করা হয়। ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় হাতির দলের নিয়মিত যাতায়াত। সরকারি ও বনদপ্তরের তরফে বেশকিছু জায়গায় এলিফ্যান্ট জোন রয়েছে। তবে কিভাবেবিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলো পূর্ণবয়স্ককে হাতিটি তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দানা বেধেছে।
আরও পড়ুন- 'নুন আনতে পান্তা ফুরায়', বাঁশি সুর হারিয়ে যাচ্ছে অভাবের অন্ধকারে
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ঝাড়গ্রামের লকাটে চাষের জমিতে পূর্ণ বয়স্ক দাঁতাল হাতির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফসল বাঁচাবার জন্য বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘেরার ফলে কিংবা অন্য কোনো ভাবে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্তের হলে জানা যাবে।
প্রসঙ্গত সাধারণ মানুষের খামখেয়ালিপনার কারণে কমছে নানান বন্য প্রাণীর সংখ্যা। হারিয়ে যেতে বসেছে একাধিক প্রাণী। তারপরেও হুশ ফিরছে না সাধারণ মানুষের। পশু প্রেমিরা মনে করছেন, জঙ্গলে আগুন লাগানোর কারণে হাতির দল লোকালয়ে আসে। যদি জঙ্গলে আগুন লাগানো বন্ধ হয় তবে হাতির দল লোকালয়ে এসে ক্ষতি করবে না। কিন্তু চাষের জমি বা অন্য কোন ক্ষেত খামারের জমি বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে ফেলে বন্যপ্রাণীর ক্ষতি করা আইনত দণ্ডনীয়।
Ranjan Chanda
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।