মেদিনীপুর: আবহাওয়ার আগাম আভাস দেয় আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেই দফতর থেকে বৃষ্টিপাতের তারতম্য বিষয়ে গবেষণা করে পুরস্কার জিতলেন মেদিনীপুরের এক বাসিন্দা। 'তরুণ বিজ্ঞানী'র পুরস্কার জিতে নিয়েছেন শুভার্থী সরকার।
দেশজুড়ে বৃষ্টিপাতের তারতম্য কীভাবে হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই তারতম্য কোথায়, কীভাবে হবে, এই সংক্রান্ত সঠিক গবেষণা তুলে ধরেছিলেন তিনি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েই এই পুরস্কার জেতা। আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur)- এর তরুণ গবেষক শুভার্থী সরকার মেদিনীপুর শহরের পুলিশ লাইনের বাসিন্দা। বয়স মাত্র ২৫ বছর। এই বয়সেই তরুণ আবহাওয়া বিজ্ঞানীর স্বীকৃতি। স্বাভাবিকভাবেই খুশি আপামর মেদিনীপুরবাসী। বৃহস্পতিবার, গত ২৩ মার্চ কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত ভারত সরকারের আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্রে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে মহিলা কনস্টেবল! নজিরবিহীন ঘটনা
সম্প্রতি আলিপুর আবহাওয়া দফতর চল্লিশ বছর বয়সের মধ্যে যুবকদের নিয়ে একটি সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। প্রথমে রিসার্চ পেপার বা গবেষণা পত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পরে রিসার্চ পেপার তথা গবেষণা পত্রের উপর উপস্থাপন করতে হয়েছিল। গত ২৩ মার্চ অর্থাৎ ওয়ার্ল্ড মেটেরোলোজিক্যাল ডে (World Meteorological Day) উপলক্ষে বেছে নেওয়া হয়েছে দেশের সেরা তিনজন সম্ভাবনাময় তরুণ বিজ্ঞানীকে।
আরও পড়ুন: দিঘায় বেড়াতে গিয়ে ভয়ানক ঘটনার সম্মুখীন পর্যটকরা! প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে, কী ঘটেছে
প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন পুণের আবহাওয়া বিজ্ঞান সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান আইআইটির এক ছাত্রী। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন পুণেরই আইএমডি নামে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের একজন তরুণ গবেষককে। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন আইআইটি খড়্গপুরের গবেষক শুভার্থী।
শনিবার মেদিনীপুর শহরে নিজের বাড়িতে ফিরেছেন শুভার্থী। বিশ্ব উষ্ণায়ন কীভাবে বৃষ্টিপাতের তারতম্যের উপর প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। এই তারতম্য ভবিষ্যতে কী বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে পরিবেশের! তাও ছিল তাঁর বক্তব্যে। ভবিষ্যতে দেশজুড়ে কোথায়, কীভাবে বৃষ্টিপাতের তারতম্য হবে, সবটাই গবেষণাপত্রে তুলে ধরেছেন।
পুরুলিয়া (দশম অবধি) ও নরেন্দ্রপুর (একাদশ-দ্বাদশ) রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তনী শুভার্থী। শিবপুর থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বি.টেক করেছেন। তারপর এম.টেক (M. Tech) করেছেন আইআইটি খড়্গপুর থেকে। শুভার্থী বলেন, "সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েরই অন্তর্গত ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং অংশে বায়ুমণ্ডল ও পৃষ্ঠতল সম্পর্কে বিশদে গবেষণা করতে হয়েছে। সেই সূত্রেই বৃষ্টিপাতের তারতম্য সম্পর্কিত একটি রিসার্চ পেপার জমা দিয়েছিলাম এবং বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলাম। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানীরা সেটিকে বেছে নেওয়ায় আমি সত্যই গর্বিত।''
Ranjan Chanda
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: West Midnapore news