পশ্চিম মেদিনীপুর: ধান চাষ করে মিলছে না লাভজনক ফল। চাষে খরচ ওঠাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন ধানচাষীরা। রজনীগন্ধা চাষ করে বিকল্প আয়ের দিশা দেখাচ্ছে পিংলা চাষীরা। পিংলার গো গ্রামে বিঘার পর বিঘা জমিতে চাষ হচ্ছে হাইব্রিড প্রজাতির রজনীগন্ধা। আর এই ফুল চাষ করে মোটা অঙ্কের লাভের মুখ দেখছেন গ্রামীণ চাষীরা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার গোগ্রামে এখন অধিকাংশ চাষীরাই রজনীগন্ধার চাষ করছেন। চাষীদের কথায় ছয় মাসের এই ফুল চাষে লাভ হচ্ছে বেশ। একর প্রতি একবার চাষে লাভের পরিমাণ এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। নদীয়ার রানাঘাটে প্রজ্জ্বলা প্রজাতির রজনীগন্ধা চাষ হত। এই প্রজাতি হাইব্রিড জাতীয়।
আরও পড়ুন - Viral News: অবাক কাণ্ড! নিয়ে আসুন প্লাস্টিক, ফ্রি তে নিয়ে যান ১ কেজি চাল!
তবে পরবর্তীতে পিংলা এলাকার বেশিরভাগ মানুষ ধান চাষের পরিবর্তে বিকল্প চাষ হিসেবে রজনীগন্ধা ফুলের চাষ করছেন। জানা গিয়েছে, রোপন থেকে ছমাসের মধ্যে ফুল ফোটে রজনীগন্ধার। একর প্রতি ওষুধ, চাষের শ্রমিক সহ মোট খরচ হয় প্রায় এক লক্ষ টাকা। ছয় মাস পরে লাভের অঙ্ক দাঁড়ায় দেড় থেকে দু লক্ষ টাকা। উৎপাদিত এই ফুল বিক্রি হয় কোলাঘাট সহ একাধিক ফুল বাজারে। বর্তমানে গো গ্রামে ফুলের বাজার তৈরি হয়েছে।
শুধু তাই নয় ফুল চাষের পরেও রজনীগন্ধার কন্দ বা মূল পরবর্তীতে বীজ হিসেবে বিক্রি করা হয়। ফলে বাড়তি লাভ জোটে এখান থেকে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রজনীগন্ধা ফুলের চাহিদা রয়েছে বেশ। তবে স্বল্প খরচে বেশি লাভের মুখ দেখছেন রজনীগন্ধা চাষিরা।
Ranjan Chanda
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Income, Paschim medinipur, West Midnapore