দাঁতন, পশ্চিম মেদিনীপুর: শিক্ষিকারা নিয়ম করে এলেও, বিদ্যালয়ে আসে না একজনও ছাত্রী। ধুলো জমেছে বেঞ্চ, টেবিলে। ক্লাসরুমের তালাও হয়তো খোলা হয় সপ্তাহে হতে গোনা কয়েকদিন। এভাবে একাকীত্বে দিন কাটাচ্ছে আস্ত একটা স্কুল। বেশ কয়েক বছর ধরে কমছিল ছাত্রীর সংখ্যা। 2023 শিক্ষা বর্ষে ছাত্রীর সংখ্যা শুন্য পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বামনদা শ্রী শ্রী মা বালিকা বিদ্যালয়ে।
১৯৭৫ সালে দাঁতনের প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকায় প্রতিষ্ঠা হয় বালিকা বিদ্যালয়।প্রথম থেকে গমগম করত বিদ্যালয়।ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে ছাত্রীর সংখ্যা।এবছর সেই সংখ্যা হয় শুন্য।প্রতিদিন নিয়ম করে আসেন শিক্ষিকারা, আসেন দুই শিক্ষাকর্মীও।পশ্চিম মেদিনীপুরের এই বালিকা বিদ্যালয়ে সব কিছুই আছে, নেই পড়ার মত কেউ।
আরও পড়ুন - Hooghly News: ছেলে পারবে না বাবা-মায়ের সম্পত্তি রাখতে, তার কাছে থাকতে বৃদ্ধাশ্রমে মা-বাবা
শূন্য শ্রেণীকক্ষে সারিবদ্ধ বেঞ্চ। আছে ব্ল্যাকবোর্ড। তবে, তাতে আঁচড় পড়েনি দীর্ঘদিন। মিড-ডে মিলের সরঞ্জামে পড়েছে ধুলোর আস্তরণ। ঘন্টাটাও বাজেনি বহুদিন! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন থানার বামনদা শ্রী শ্রী মা গার্লস স্কুল (জুনিয়র হাই স্কুল)- এ চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী সংখ্যা শূন্য। গত শিক্ষাবর্ষে ছাত্রী ছিল ৪ (চার) জন। এবার, তারাও পাশের উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পড়ুয়া শূন্য স্কুল যেন খাঁ খাঁ করছে! তবুও, নিয়ম করে প্রতিদিনই বিদ্যালয়ে আসেন দুই শিক্ষিকা ও দুই শিক্ষাকর্মী। সাড়ে তিনটা পর্যন্ত থাকেন, তারপর বাড়ি চলে যান।জনগিয়েছে পাশে রয়েছে উচ্চ বিদ্যালয়। এই স্কুল অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। তার উপর পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। গত ২-৩ বছর ধরে বিজ্ঞানের একজনও শিক্ষক নেই। তাই, পড়ুয়া কমতে কমতে এবার শূন্য হয়ে গেছে। গ্রাম ঘুরে ছাত্রী ভর্তির কথা জানানো হলেও কাজ হয়নি!
এলাকাবাসীদের দাবি, ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্কুল। একসময় গম গম করত এই এলাকা। ছাত্রীদের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠতো বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। ধীরে ধীরে পড়ুয়া কমতে শুরু করে বিভিন্ন কারণে। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত মালযমুনা কে.পি.এস হাই স্কুল। জুনিয়র হাই স্কুলে না পড়ে সকলেই হাই স্কুলে পড়তে চায়। নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আর চিন্তা করতে হবে না। সেখানে শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীও বেশি। এই সব নানা কারণে ছাত্রীরা এখন আর এই অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলে ভর্তি হতে চায় না।
আরও পড়ুন: খেতে ভাল লাগুক বা না লাগুক, কলা গাছের থোড় এই ভয়ানক রোগ থেকে রেহাই দেবেই! জানতেন?
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকটা খাতা পত্রের কাজ কিংবা নিজেদের মধ্যে গল্প করে কাটাতে হয় শিক্ষিকাদের। আবার কবে গমগম করে এ বিদ্যালয়ের চত্বর তা এখন দেখার।
Ranjan Chanda
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: South bengal news, West Midnapore