পশ্চিম মেদিনীপুরঃ করোনা মহামারী যেমন একদিকে পৃথিবীর বহু কর্মসংস্থান ধ্বংস করেছে, কেড়ে নিয়েছে বহু প্রাণ, বন্ধ করেছে অফিস-আদালত এবং বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র, তখন অন্যদিকে এই কোভিড কালে বিক্রি বেড়েছে গঙ্গাজলের। এমনই রিপোর্ট এসেছে মেদিনীপুরের প্রধান ডাকঘর থেকে। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, কোভিড বিপর্যয়ের ফলে প্রায় বছর দুয়েক স্তব্ধ হয়ে যায় জনজীবন। গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভারতবর্ষেরও অর্থনীতি ব্যাপকহারে ভেঙে পড়ে। স্কুল কলেজ, অফিস, আদালত, ব্যবসা, বাণিজ্যেও রাশ টানতে হয় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে। বাইরে বেরুনোর ক্ষেত্রে একাধিক নিষেধাজ্ঞা এবং নির্দিষ্ট সময় ছাড়া বেরোনোর উপর প্রাবন্ধিক বসিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। এরই মধ্যে জরুরি ব্যবস্থা গুলোকে যেমন ছাড় দেওয়া হয়, তেমনই একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে আনে রাজ্য সরকার। যদিও জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধে বহু মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বহু মানুষের কাজ হারিয়ে গিয়েছে। ফলে চরম অর্থনৈতিক সংকটে নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। তবে এই বিপর্যয়ের মধ্যেও একটি সুখবর শোনা গিয়েছে প্রধান ডাকঘর থেকে। মেদিনীপুরের প্রধান ডাক ঘরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই কোভিড বিপর্যয়েও বছরে সর্বাধিক গঙ্গাজল বিক্রি করেছে তারা।কেন্দ্র সরকারের থেকে পাওয়া এই গঙ্গাজলের নির্দেশিকায় তারা গঙ্গোত্রী এবং ঋষিকেশের জল বিক্রি করা শুরু করে। এই গঙ্গাজলের ২৫০ মিলির দাম রাখা হয় ৩০ টাকা।
২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত মোট গঙ্গাজল বিক্রি হয়েছে ১৮৪৫ বোতল। অর্থাৎ প্রায় ৪৬১ লিটার ২৫০ মিলি গঙ্গাজল বিক্রি করেছে প্রধান ডাকঘর তার গ্রাহকদের। মোট ১৮৪৫ বোতল গঙ্গাজল বিক্রি করে ডাকঘরের ঝুলিতে এসেছে ৫৫ হাজার ৩৫০ টাকা। যাতে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে এই জঙ্গলমহলের প্রধান ডাকঘর। আর তাতেই উচ্ছ্বসিত প্রধান ডাকঘরের আধিকারিক ও কর্মীরা। যদিও এই ডাকঘর থেকে পাওয়া গঙ্গাজল স্বচ্ছ এবং সবচেয়ে বেশি পবিত্র বলে মনে করছেন তারা, তাই মানুষের মধ্যে এর চাহিদাও সবচেয়ে বেশি। যদিও মেদিনীপুরের প্রধান ডাকঘরের সিনিয়র পোস্টমাস্টার রতিকান্ত সোয়াইন বলেন, এটা ডাকঘরের কাছে একটা বড় পাওনা। যেখানে এই ডাকঘর থেকে মানুষের গঙ্গাজল কেনার চাহিদা সবচেয়ে বেশি।জঙ্গল মহলের মানুষ বেশি নির্ভরশীল এবং স্বচ্ছতা মনে করে তাই এখান থেকে গঙ্গাজল সঞ্চয় করে এবং এই চাহিদার জন্যই গত এক বছরে তাদের মোট বিক্রির পরিমাণ সর্বোচ্চ। যা রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে।এতে আমরা খুশি। এই ডাক ঘরের কাউন্টার থেকে মানুষ সরাসরি গঙ্গাজল কিনতে পারেন। পাশাপাশি এখান থেকে গঙ্গাজল ক্রয় করে মানুষ অন্যত্র পাঠাতে পারেন তাঁদের আত্মীয় পরিজনদের। এছাড়াও অনলাইনেও গঙ্গাজল ক্রয় করার সুবিধা রয়েছে। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্পের অধীন, যা হয়তো অনেক মানুষই জানতেন না।
(https://www.indiapost.gov.in/MBE/Pages/Content/GangajalServices.aspx) ওয়েবসাইটে গিয়ে মানুষ ক্রয় করতে পারবেন। গঙ্গোত্রীর জল - পোস্ট অফিস কাউন্টার মূল্য ৩০ টাকা (২৫০ml) গঙ্গোত্রী জল - অনলাইন মূল্য দুটি বোতলের প্যাক ২০১ টাকা (প্রতি প্যাক) ২৫০ml গঙ্গোত্রী জল - অনলাইন মূল্য চারটি বোতলের প্যাক ৩২১ টাকা। (প্রতি প্যাক) ২৫০ml
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: India Post, Paschim medinipur