কেশিয়াড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর: ধান চাষ করে মিলছে না লাভজনক ফল। অন্যদিকে পাথুরে অনুর্বর জমিতে ধান চাষও হচ্ছে না। ধান চাষের বিকল্প হিসেবে সয়াবিন বীজ চাষ করে বিকল্প আয়ের দিশা দেখছে চাষিরা। সহযোগিতায় ব্লক ও জেলা প্রশাসন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের দুধেবুধে এলাকা মূলত পাথুরের মোরাম মাটিযুক্ত এলাকা। এক ফসলি চাষ করে লাভের মুখ দেখতে হিমশিম খায় চাষিরা। বাধ্য হয়ে আবার কেউ কেউ চাষও করে না। চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে এগিয়ে এসেছে ব্লক ও জেলা প্রশাসন। মাটি সৃষ্টি প্রকল্পের অধীন দুধেবুধে এলাকায় দেড় একর জায়গায় লাগানো হয়েছে সয়াবিন বীজ। এই প্রকল্পের অধীনে এলাকার প্রায় ৪০ জন চাষিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সাত থেকে আটজনের দেড় একর জমিতে লাগানো হয়েছে সয়াবিন বীজের গাছ।
মনে করা হচ্ছে পাথুরে এই জমিতে ভাল ফলন হবে সয়াবিন বীজের। ধান বা সবজি চাষের বিকল্প হিসেবে সয়াবিন বীজ চাষ করলে অনেকটাই লাভজনক। সরকারি তরফে উদ্যান পালন বিভাগের সহায়তায় চাষিদের দেওয়া হয়েছে সোয়াবিন বীজও। বীজ বপন থেকে বিক্রি সমস্ত ক্ষেত্রে সর্বতোভাবে সাহায্য করবে ব্লক ও জেলা প্রশাসন। উৎপাদিত শস্য বিক্রি হবে খড়্গপুরে। যার ফলে চাষিদের উৎপাদিত বিক্রি নিয়ে চিন্তা থাকবে না।
আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে সুদের হার! ঋণের আবেদন করার আগে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি!প্রসঙ্গত পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল এলাকা কেশিয়াড়িতে মূলত ধান চাষ এবং নদী তীরবর্তী এলাকায় সবজি চাষের উপর ভর করে মানুষের দিন আনা দিন খাওয়া চলে। তবে বেশিরভাগ এলাকায় মোরাম খাদান থাকায় সেই এলাকায় চাষ হয় না। পতীত থাকে এলাকা। পতিত থাকা জমিতে নতুনভাবে চাষ করবার উদ্যোগ সরকারের। চাষিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে উদ্যান পালন বিভাগ।
Ranjan Chanda
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Agriculture