হোম /খবর /পশ্চিম মেদিনীপুর /
চকলেট ফুচকা, আইসক্রিম ফুচকা! উচ্চশিক্ষিত সুব্রত সংসার টানছেন ফুচকার দোকান করে

West Midnapore News: চকলেট ফুচকা, আইসক্রিম ফুচকা! ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সুব্রত সংসার টানছেন ফুচকার দোকান করে

X
বিশেষ [object Object]

West Midnapore News: সংসার টানতে মেদিনীপুর পুলিশ লাইন পার্ক এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ফুচকা বিক্রি করছে ডি এল এড পাস এক শিক্ষিত যুবক

  • Hyperlocal
  • Last Updated :
  • Share this:

মেদিনীপুর: শুধু চা বিক্রেতা নয়, এবার D.L.Ed ফুচকাওয়ালা! মেদিনীপুরের পুলিশ লাইন এলাকায় চকলেট,পনির-সহ ভ্যারাইটি ফুচকার দোকান দিয়ে সংসার সামলাচ্ছেন উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবক সুব্রত।

প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় জন্ম হলেও সামান্য অর্থ সঞ্চয় করে নিজেদের ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষিত করেছেন বাবা-মারা। তবে যে আশায় ছেলেমেয়েদের বড় করে তুলেছিলেন বাবা-মারা সেই সরকারি চাকরি পাচ্ছে না উচ্চশিক্ষা লাভ করার পরেও। উচ্চশিক্ষিত হয়েও সংসার সামলাতে ভরসা সামান্য দোকানের পুঁজি। এমনই এক শিক্ষিত বেকার হলেও সুব্রত শী। সুব্রত ভূগোল বিষয়ে স্নাতক পাস করবার পর প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণের পাঠ বা ডিএলএড ডিগ্রী করেন। একাধিক ফর্ম ফিলাপ করেছেন, পরীক্ষাও দিয়েছেন তার এই ৩০ বছরের জীবনে। তবে মেলেনি কোনও সরকারি চাকরি

বাড়ি চন্দ্রকোনা হলেও কলেজে পড়াকালীন মেদিনীপুরে তার পরিচয় গড়ে ওঠে। চাকরির আশা না করে অবশেষে সংসার চালাতে ফুচকার স্টল নিয়ে হাজির হয় শহরের পুলিশ লাইন পার্ক এলাকায়। গত ডিসেম্বর মাস থেকে সামান্য কিছু পুঁজি নিয়ে শুরু করেছে সেই ব্যবসা। রীতিমতো কয়েক হাজার টাকার মেশিন সঙ্গে এবং দোকান ভাড়া নিয়েই জীবিকা উপার্জনের চেষ্টায় দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সুব্রত।

আরও পড়ুন: হেরে যাওয়া সাগরদিঘিতেও সভা! নবজাগরণ যাত্রায় অভিষেকের পাখির চোখ কোন কোন জেলা?

আরও পড়ুন: হাত দেখিয়ে বললেন, 'খুলে ফেলেছি', অভিষেককে নিয়ে বিরাট মন্তব্য পার্থর! তুমুল শোরগোল

গ্রাহকের পছন্দের হাইজনিক ভ্যারাইটি ফুচকা নিয়ে প্রতিদিনই হাজির সে।আলুর পুরের ফুচকা তো আছেই তার সঙ্গে চকলেট ফুচকা, পনির ফুচকা, আইসক্রিম, জেলি ফুচকা সহ প্রায় ৮-১০ ধরণের ফুচকা।সন্ধ্যা থেকে সেই ফুচকা খেতেই ভিড় জমাচ্ছে কিশোর কিশোরী তরুণ-তরুণী-সহ সকলে। শুধু দোকানেই ফুচকা বিক্রি করছে তা নয় এরই সঙ্গে সুব্রত চেষ্টা করছে বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে ফুচকার অর্ডার ধরা। সেই প্রেক্ষিতেও সে কাজ করে চলেছে।

বাড়িতে মা বাবা ছাড়াও রয়েছে স্ত্রী ও এক বছর দুয়েকের ছেলে। শিক্ষিত হয়েও কোন কাজই যে ছোট নয় তাই প্রমাণ করে দিয়েছে এই শিক্ষিত যুবক। সুব্রত বলেন, পড়াশোনা করে চাকরি হচ্ছিল না তাই বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়ে ফুচকার দোকান শুরু করি। প্রথমে বিভিন্ন জায়গা থেকে নানা কথাও শুনতে হয়েছে।  তবে সুব্রতর ফুচকার তারিফ করেছেন খেতে আসা গ্রাহকেরা। অপরূপা বোস,বনানী বোসরা বলেন, আমরা প্রায় আসি এই ফুচকা খেতে। ছেলেটা ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ভাল ভাল ফুচকা বানায়। কোনও কাজই ছোট কাজ নয় এটা সুব্রত বুঝিয়ে দিয়েছে।

Ranjan Chanda

Published by:Uddalak B
First published:

Tags: West Midnapore