#কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের পরই ডেঙ্গি ও জ্বর রোধে তৎপর রাজ্যের পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে কাজ। এলাকায় ছড়ানো হচ্ছে স্প্রে, মশা মারার তেল। নিজের নিজের এলাকায় নজর রাখছেন মন্ত্রীরা।
সোমবার রাজ্যের পুর ও পঞ্চায়েত গুলির কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ডেঙ্গি রোধে কাজ না করতে পারলে পুর বোর্ড ভেঙে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের পরই নড়েচড়ে বসেছে পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলি।
দেগঙ্গায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেঙ্গি ও জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। আজ, মঙ্গলবার ওই এলাকায় যান খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বিশ্বনাথপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ অন্যান্য এলাকাও ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন চিকিৎসক, নার্স ও আক্রান্তদের সঙ্গে। সোয়াই শ্বেতপুর পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে মন্ত্রী জানতে চান কেন মশা মারার তেল, স্প্রে মেশিন কেনা হয়নি ? টাকার অভাবেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না উত্তর দেন প্রধান।
এরপরই পঞ্চায়েত প্রধানকে ধমক দেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পঞ্চায়েতের অন্যান্য খাতের টাকা ডেঙ্গি রোধে খরচের নির্দেশ দেন তিনি।
মঙ্গলবারই জরুরি ভিত্তিতে পুরসভার চিকিৎসক ও আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায়। বৈঠকে ঠিক হয় পুর এলাকার ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি করে ওয়ার্ডে ৫০ জন করে সাফাই কর্মী কাজ করবেন। ময়লা তুলেই সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে করে সরিয়ে ফেলা হবে। প্রতিনিয়ত মশার তেল ও ধোঁয়া ছড়ানোরও নির্দেশও দেওয়া হয় বৈঠকে।
ডেঙ্গি রোধে সচেতনতা শিবির খুলেছে বনগাঁ পুরসভা। রাজারহাট এলাকার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বৈঠক করেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। ডেঙ্গি পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পাঁচু গোপাল রায়ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। ডেঙ্গি রোধে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।