হোম /খবর /পশ্চিম বর্ধমান /
বিরাট চমক, আসানসোলে হাজির 'পাঠান', লাইন দিয়ে চলছে সেলফি তোলা

West Burdwan News :বিরাট চমক, আসানসোলে হাজির 'পাঠান', লাইন দিয়ে চলছে সেলফি তোলা

X
মূর্তির [object Object]

প্রাণের তারকা 'পাঠান'-এর সঙ্গে সেলফি তোলার হিড়িক

  • Share this:

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : কিং খানের কামব্যাক ছবি 'পাঠান' নিয়ে দর্শকদের মধ্যে সেই কবে থেকে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে! ছবি মুক্তির মত তো ইতিহাস গড়ল 'পাঠান'। সব রেকর্ড ভাঙচুর! গোটা দেশে একমাত্র 'পাঠান' রাজ। 'পাঠান' শাহরুখকে দেখে-দেখে আর সাধ মেটেনা ভক্তদের। এবার সেই 'পাঠান' হাজির আসানসোলে। পাঠানকে দেখতে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ছে। কিং খানের সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য ভক্তদের হিড়িক চোখে পড়ার মতো।

চার্লি চ্যাপলিন থেকে বিগ বি, নীরজ চোপড়া থেকে বিরাট কোহলি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে জ্যোতি বসু - সকলের সঙ্গে এক ছাদের তলায় এবার দেখা যাচ্ছে বলিউডের কিং খান শাহরুখকে। আসানসোলের মহিশিলার ওয়্যাক্স মিউজিয়ামে এখন 'পাঠান'কে নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনা তুঙ্গে। মূর্তি শিল্পী সুশান্ত রায়ের মিউজিয়ামে তৈরি হয়েছে শাহরুখ খানের মোমের মূর্তি। 'পাঠান' সিনেমায় শাহরুখ খানের যে রূপ দেখা গিয়েছে, মোমের মূর্তিতে সেই রূপ-ই ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী।

শিল্পী সুশান্ত রায় জানিয়েছেন, শাহরুখ খানের এই মূর্তি তৈরি করতে প্রায় দু মাসের বেশি  সময় লেগেছে। তবে তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জিং ছিল পাঠানের পোশাক তৈরি করা। কাজটি করেছেন তাঁর মেয়ে। এমনিতেই দর্শকদের অনেক দিনের দাবি ছিল এই মিউজিয়ামে শাহরুখ খানের একটি মূর্তি তৈরি হোক। ভাইজান সালমান খানের মূর্তি তৈরির দাবিও রয়েছে দর্শকদের।

'পাঠান' দেখে আর বসে থাকতে পারেননি সুশান্ত রায়। তখনই সিদ্ধান্ত নেন মূর্তি বানানোর। হোক না মোমের, তবু 'পাঠান' তো, তার সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য লম্বা লাইন লেগেছে ফ্যান-কূলের।

শিল্পী জানিয়েছেন, মূর্তি তৈরি করার আগে যাঁর মূর্তি তৈরি করা হবে, সেই ব্যক্তির সূক্ষাতিসূক্ষ বিবরণ নির্ধারণ করতে হয়। সেই ব্যক্তি উপস্থিত না থাকলে তাঁর ছবি, ভিডিও দেখে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ লিখে রাখতে হয়। এই জন্য বেশ কয়েকশো বার তাঁর ছবি, ভিডিও দেখতে হয়। বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে নিতে হয় ছবি। এরপর সেই মূর্তির জন্য তৈরি করতে হয় পোশাক। তার জন্য নিখুঁতভাবে নিতে হয় মাপজোঁক।

এরপর একটি মাটির ছাঁচ তৈরি করা হয়। সেই ছাঁচ পছন্দসই হলে, তৈরি করা হয় মোম। কী রঙের মোমের মূর্তি হবে, সেই অনুযায়ী রং মেশানো হয়। তারপর সেই গলানো মোম ঢালা হয় মাটির ছাঁচে। এরপর মোম জমাট বেঁধে শক্ত হলে, মূর্তিটি বের করা হয়। তারপর একটি একটি করে বসানো হয় মূর্তির চুল, গোঁফ, দাড়ি, ভ্রু । সবশেষে পড়ানো হয় পোশাক।

Nayan Ghosh

Published by:Rukmini Mazumder
First published: