#আসানসোল: দুর্ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময়। কিন্তু এখনও থমথমে আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ ডাঙ্গাল। চাপা উত্তেজনা রয়েছে আসানসোল জেলা হাসপাতালে। ফুটফুটে মেয়ের নিথর দেহ দেখে শোকে পাথর পরিবার। একমাত্র উপার্জনকরী দাদা, নিথর বোনকে দেখে ভাষা হারিয়েছেন।
শীতের কষ্ট ঘোচাতে কম্বল আনতে গিয়েছিল ১০ বছরের প্রীতি। অথচ কম্বল এল না ঘরে। তার বদলে এল মেয়ের নিথর দেহ। পিতৃহীন এই মেয়েকে বড় করে তুলছিলেন মা এবং তার দাদা। অথচ এক রাতেই সব স্বপ্ন ভঙ্গ। অন্যদিকে, প্রিয়জন হারিয়ে শোকে আচ্ছন্ন অন্যান্য মৃতদের পরিবার পরিজনরাও। চিন্তিত আহতদের পরিবারও। পাশাপাশি এই ঘটনার দায় কার, কার গাফিলতিতে হয়েছে এমন দুর্ঘটনা, সে নিয়ে এখনও তরজা অব্যাহত।
আরও পড়ুনঃ বড়দিনের ছুটিতে মাত্র ৪৫ টাকাতে দিঘা! গল্প নয়, এটাই সত্যি! জানুন খুঁটিনাটি
আসানসোলের মেয়র জানিয়েছেন, আগে মানুষজনের সুস্থ হয়ে ওঠা বেশি জরুরি। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আসানসোলে বিজেপির 'শিব চর্চা' শীর্ষক কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপৃষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে দশ বছরের প্রীতির। ফুটফুটে এই মেয়ের মৃত্যু দেখে কার্যত ভাষা হারিয়েছেন সকলেই। বিভিন্ন জায়গায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান হয়।
শীতের কষ্ট ঘোচাতে এই কম্বলের উপর ভরসা করেছিলেন প্রীতির পরিবার। আর সেই কম্বলই হল কাল। কম্বল আনতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ বছরের ফুটফুটে এই মেয়ের। আর তাতেই শোকে আচ্ছন্ন প্রীতির পরিবার। সকলেই বলছেন, কোনও কিছুর বিনিময়ে এই প্রাণের দাম দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ দুর্ভাগ্যজনক একটি ঘটনায় অকালে ঝরে গিয়েছে একটি প্রাণ। আসানসোলের এই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই এখন জেলা তথা রাজ্য জুড়ে নানান তরজা অব্যাহত।
Nayan Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: West Bardhaman