পশ্চিম বর্ধমান : ফলহারিণী অমাবস্যা উপলক্ষে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্যতম পুরনো ঘাগরবুড়ি মন্দিরে। ৩০০ বছরের বেশি পুরনো এই চণ্ডী মাতার মন্দিরে আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ যজ্ঞ এবং কুমারী পুজোর। ফলহারিণী অমাবস্যা উপলক্ষে নানাবিধ পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল এই মন্দিরে। উল্লেখ্য ফলহারিণী অমাবস্যা হিন্দু ধর্মীয় প্রথাগুলির মধ্যে অন্যতম। গুরুত্বপূর্ণ এই তিথিতে তারাপীঠে তারা মায়ের মন্দিরে বিশেষ পুজো পাঠ করা হয়। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন মন্দিরে হয় বিশেষ পুজোর আয়োজন। তেমনভাবেই জেলার অন্যতম পুরনো এই মন্দিরে ফলাহারিনি অমাবস্যা উপলক্ষে নানা রকম ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সারারাত ধরে মন্দিরে হয়েছে পুজোর্চনা, যজ্ঞ। সকাল থেকেই মন্দিরে পূর্ণার্থীদের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।
চরম ব্যস্ততা ছিল মন্দির কমিটির সদস্য এবং উদ্যোক্তাদের মধ্যে। পুজোর শেষে ভক্তদের জন্য প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পুরাণ অনুযায়ী, ফলহারিণী অমাবস্যায় যদি ভক্তরা দেবীর কাছে শুদ্ধমনে প্রার্থনা করেন, তাহলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ফলাহারিনি অমাবস্যায় ফলদায়ী দেবীর আরাধনা করা হয়। অর্থাৎ দেবী দুর্গার বিভিন্ন রূপ আরাধনা করা হয়।
আরও পড়ুনঃ দুর্ঘটনা রুখতে প্রচার, পুলিশের হাতিয়ার পথনাটিকা
এক্ষেত্রে তারাপীঠের মন্দিরে যেমন জাঁকজমকের সঙ্গে পুজোর আয়োজন করা হয়, তেমনি বিভিন্ন কালী মন্দির বা চন্ডী মন্দিরেও বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। আসানসোলের তিনশো বছরের পুরনো ঘাগরবুড়ি চন্ডী মাতার মন্দিরে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ উচ্ছেদ অভিযানে রেল, মাঠে নামলেন মেয়র
কালিপাহাড়ি ধর্মচক্রের উদ্যোগে এদিন বিশেষ পুজোপাঠ করা হয়েছে এই মন্দিরে। যদিও বিগত দুবছর করোনার জন্য তেমন জাঁকজমকের সঙ্গে পুজোর আয়োজন করা যায়নি। তবে চলতি বছরে ফলাহারিনি অমাবস্যায় ফের জৌলুস ফিরে পেয়েছে ঘাঘরবুড়ি মন্দির।
Nayan Ghoshনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Asansol, Paschim bardhaman