দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান: মোকা আসার কথা শুনেই আঁতকে উঠেছিলেন আম চাষিরা। তবে সৌভাগ্যক্রমে মোকা আসেনি পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। কিন্তু কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে অসহায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার লাউদোহা পঞ্চায়েতের তিলাবনি গ্রামের কয়েকজন বেকার যুবক। দু’বছর আগে মোটা টাকা দিয়ে ডাক নিয়েছিলেন কয়েক বিঘা জমির উপর তৈরি আম বাগানের। সেখানে বহু প্রজাতির আমের গাছ রয়েছে। সেই আমের ফলন থেকেই দেখেছিলেন লাভের আশা। অথচ মঙ্গলের বিধ্বংসীর ঝড় অমঙ্গল ডেকে এনেছে বেকার যুবকদের জন্য।
গত মঙ্গলবার কয়েক মিনিটের ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে পুরো আমবাগানটি। এর আগেও দুটি ঝড়ে ক্ষতি হয়েছিল আমবাগানের। গাছ থেকে ঝরে পড়েছিল প্রচুর আম। তবে বিশাল এই আম বাগানের যে আম বেঁচে ছিল, তা ছিল যথেষ্ট। এমনটাই তখন মনে করেছিলেন আম চাষিরা। ভরসা ছিল আম্রপালি আমের ফলনের ওপর। কিন্তু মঙ্গলের ঝড়ে সেই আশাও কার্যত নিভে যেতে বসেছে।
কয়েক বিঘা জায়গা নিয়ে তৈরি এই আম বাগান। এখানে রয়েছে শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ। অ্যালফেনশো থেকে শুরু করে আম্রপালি, বৈশাখী, চন্দ্রমুখী, ল্যাংড়া-সহ বিভিন্ন প্রজাতির আম আছে এই বাগানে। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের তিলাবনি গ্রামের এই আম বাগানটি লাউদোহা পঞ্চায়েতের অধীন। দু’বছরে মোটা টাকা ডাক নিয়ে এলাকার কিছু বেকার যুবক এই বাগানে আম চাষ করেছিলেন। কিন্তু প্রকৃতির রোষে অসহায় হয়ে পড়েছেন আম চাষিরা।
ঘূর্ণিঝড়ে বাগানের যত্রতত্র পড়ে রয়েছে কাঁচা পাকা আম।
ঝড়ের দাপটে আম বাগানের এই বিপুল ক্ষতির পরে চিন্তায় আম চাষিরা। কারণ এই বাগানে কাজ করতেন ১২ জন শ্রমিক। তারা গাছের দেখাশোনা করতেন। বাগান পাহারা দিতেন। অথচ যা ক্ষতি হয়েছে, তাতে করে চাষের খরচে উঠবে না। ফলে কিভাবে মেটানো হবে শ্রমিকদের মাইনে, কিভাবে দেবেন ডাকের টাকা, এই নিয়ে চিন্তায় ঘুম উড়েছে চাষীদের। অন্যদিকে, বিপুল পরিমাণ আম শিলাবৃষ্টি এবং ঝড়ের দাপটে পড়ে যাওয়ায়, সেই আম জলের দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষীরা।
Nayan Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Durgapur news, Farming News