#পশ্চিম বর্ধমান : রাজ্যজুড়ে আজ মহাসমারোহে পালিত হয়েছে হুল দিবস। হুল দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। হুল দিবস উপলক্ষে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গায় আয়োজন করা হয়েছিল নানা রকম অনুষ্ঠানের। দুর্গাপুর, আসানসোল, অন্ডাল সহ বিভিন্ন জায়গায় হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস মহাসমারোহে পালিত হয়েছে এদিন। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১৬৮ তম হুল দিবস পালন করা হয়েছে। সিধু কানুর মূর্তিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানটির শুরু হয়। আদিবাসী সম্প্রদায়ের ধামসা মাদল মাধ্যমে অতিথিদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরী সহ বিশিষ্টরা। অনুষ্ঠানের নিজেদের বক্তব্যের মাধ্যমে ফুল দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন তারা। তাছাড়াও, বৃহস্পতিবার অন্ডালের কাজোড়া ও সিদুলী এলাকায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন হুল দিবস পালন করেছেন।
অন্যদিকে, হুল দিবসের দিনে জিৎপুর উত্তরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নামকেশিয়া এবং ঘিয়াডোবা আদিবাসী গ্রামে বীর সিধু কানু মূর্তির উন্মোচন করেছেন আসানসোলের মেয়র তথা বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। এদিন তিনি সিধু ও কানুর মূর্তিতে মাল্যদান করে তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ইতিহাসের অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি দিন। বীর সিধু কানুর দেশের জন্য বলিদান, আত্মত্যাগ আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। তাদের আদর্শকে সঙ্গে রেখে আমাদের সমস্ত প্রতিবাদের অন্যায় করতে হবে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার! এতদিনে বিদ্যুৎ পেল জামডোবা গ্রাম!প্রসঙ্গত, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি উল্লেখযোগ্য দিন হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। প্রতিবছর ৩০শে জুন পালিত হয় এই দিনটি। ১৮৫৫ সালে সিধু-কানুর নেতৃত্বে সাঁওতাল বিদ্রোহ বা সান্তাল হুল এর সূচনা হয় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায়। এটিই ছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন।
আরও পড়ুনঃ কেন ভাইরাল হন না ঝর্না রায়ের মতো জনপ্রতিনিধি? 'বাড়ি রাজনীতি' প্রসঙ্গে সরব মুখ্যমন্ত্রীইংরেজ আমলে স্থানীয় মহাজন ও দাদন ব্যবসায়ীদের শোষণ ও নিপীড়ন এবং ব্রিটিশদের অত্যাচারের শিকার হয়ে তা থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই এই আন্দোলনের সূচনা। স্থানীয় জমিদার, মহাজন ও ইংরেজ কর্মচারীদের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলে সাঁওতালরা। এই আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে ইংরেজ সিপাহিদের গুলিতে প্রাণ হারান সিধু। কানুকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তাঁদের স্মরন করতেই প্রতিবছর এই দিনে পালিত হয় হুল দিবস।
Nayan Ghoshনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Asansol, Durgapur, Paschim bardhaman