হোম /খবর /পশ্চিম বর্ধমান /
West Bardhaman:তীব্র গরমের পর বৃষ্টি দিয়েছে স্বস্তি,কিন্তু মাথায় হাত পড়েছে ওদের

West Bardhaman News: তীব্র গরমের পর বৃষ্টি দিয়েছে স্বস্তি, কিন্তু মাথায় হাত পড়েছে ওদের

মাঠে নষ্ট ধান।

মাঠে নষ্ট ধান।

West Bardhaman News: টানা গ্রীষ্মের দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত ছিল বঙ্গবাসীর। অবশেষে শেষ কয়েক দিনে বৈশাখের বৃষ্টি রক্ষা করেছে তীব্র গরম থেকে। হাঁসফাঁস হওয়া আবহাওয়া থেকে মুক্তি পেয়ে মিলেছে কিছুটা স্বস্তি। কিন্তু আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে কৃষকদের কপালে।

আরও পড়ুন...
  • Share this:

পশ্চিম বর্ধমান: টানা গ্রীষ্মের দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত ছিল বঙ্গবাসীর। অবশেষে শেষ কয়েক দিনে বৈশাখের বৃষ্টি রক্ষা করেছে তীব্র গরম থেকে। হাঁসফাঁস হওয়া আবহাওয়া থেকে মুক্তি পেয়ে মিলেছে কিছুটা স্বস্তি। কিন্তু আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে কৃষকদের কপালে। কারণ এই ঝড়-বৃষ্টি বা শিলা বৃষ্টি বিপদ হয়ে দেখা দিচ্ছে তাদের কাছে। পরিশ্রমের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মাঠেই। এই ঝড়-বৃষ্টি বা শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বোরো চাষের। তাতেই চিন্তা বাড়ছে কৃষকদের।

পূর্ব বর্ধমান জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ধান চাষ হলেও, পশ্চিম বর্ধমানে ধান চাষের মাত্রা অনেকটাই কম। কারণ এই জেলার বেশিরভাগ অঞ্চল জুড়ে রয়েছে শিল্পাঞ্চল এবং খনি অঞ্চল। তা সত্ত্বেও যেটুকু কৃষিযোগ্য জমি রয়েছে, সেখানে কৃষকরা বোরো চাষ করেছিলেন। এ বছর বোরো চাষের জন্য খুব বিশেষ জল দেয়নি ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া তীব্র গরমের সঙ্গে চলতি বছরের বোরো চাষের মরশুমে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটাই কম হয়েছে। ফলে ধান চাষ করতে রীতিমত বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে কৃষকদের। শেষ মুহূর্তে এসে সেই ফসলই মাঠে নষ্ট হচ্ছে। যে বৃষ্টির অভাবে ধান চাষ করতে গিয়ে কৃষকদের বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়েছে, অসময়ে সেই বৃষ্টি আবার কৃষকদের ভোগান্তির অন্যতম কারণ হচ্ছে।

কৃষকরা বলছেন,"ধান পেকেছে, ফসল ঘরে তোলার সময় এসেছে। মাঠে চলছে ধান কাটা। ধান কেটে রাখা আছে মাঠেই। চলছে ঘরে আনার প্রস্তুতি। আর তার মধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। তাতে ধানের ক্ষতি হচ্ছে ব্যাপকভাবে। যারা ঘরে ধান তুলে নিতে পেরেছেন, তারা কিছুটা এই ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তবে যাদের ধান এখনও মাঠেই রয়েছে, তারা সমস্যায় পড়ছেন।" কৃষকরা আরও বলছেন,"যখন বৃষ্টি হওয়ার প্রয়োজন ছিল, তখন বৃষ্টি হল না আর এই অসময়ের বৃষ্টির ফলে চাষের ক্ষতি হচ্ছে। সময়মত ফসল ঘরে তুলতে না পারলে আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।"

আরও পড়ুনঃ IPL 2023: যুবরাজ-পাঠানদের খিদে মেটাতে কী হাল হয়েছিল প্রীতি জিন্টার, ১৪ বছর পর 'রহস্য ফাঁস'

এ বিষয়ে জেলার কৃষি অধিকর্তারা বলছেন,"এই সময় কৃষকদের একটু সাবধান থাকতে হবে। যাদের ধান পেকে গিয়েছে, তাদের সময় নষ্ট না করে ধান ঘরে তুলে নেওয়া উচিত। পাশাপাশি একটু নজর রাখতে হবে আবহাওয়ার খবরের দিকে। যাদের ধান কেটে মাঠে রাখা আছে, তারা ধানের ওপর মোটা ত্রিপল ঢাকা দিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে কিছুটা ধান রক্ষা পাবে। আর যত দ্রুত সম্ভব মাঠে থাকা ধান ঘরে তুলে আনতে হবে। তাহলে ঝড় বৃষ্টির ক্ষতি থেকে কিছুটা রক্ষা পাবে বোরো ধান।"

Nayan Ghosh

Published by:Sudip Paul
First published:

Tags: Agriculture, Farmers, Paddy, West Bardhaman, West bardhaman news