দুর্গাপুর: ভালবাসা মানে কী! নানা মানুষের মতামত। তবে সবশেষে তার নির্যাস একটাই, আত্মিক বন্ধন। ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষে অনেকেই নিজেদের ইচ্ছামত, সাধ্যমত সেলিব্রেশন করছেন। থাকছে উপহারের বাহার। তবে এমনও কিছু ভালবাসা আছে, যেখানে তা উদযাপনের আড়ম্বর নেই। কিন্তু আছে নিখাদ ভালবাসা।
এক মহিলা। যার ভালবাসা, সঙ্গী সবকিছুই আবদ্ধ জীবনযুদ্ধের এক একজন নায়কের কাছে। আর তারা সর্বহারা কিছু সারমেয়। সর্বহারা কারণ, তাদের কারোর নেই পা, কেউ চলতে পরে না, কেউ আবার দুর্ঘটনায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত। কেউ কেউ আবার মালিক অফুরন্ত ভালবাসা দিয়েও ঠকে গিয়েছে। আর তাদের নিয়েই সংসার চৈতালী রায়ের। যিনি ভালবাসার সঙ্গী, সন্তানসম স্নেহে বড় করে তুলছেন তাদের।
আরও পড়ুনঃ 'না! এখানে আমার যুদ্ধ শেষ হয়নি,' টেটে প্রথম ইনা জানালেন পরবর্তী লক্ষ্যের কথা
দুর্গাপুর ইস্পাত কলোনিতে চৈতালী দেবীর ভালবাসার পাত্র পাত্রীদের বসবাস। অনাড়ম্বরভাবে ভ্যালেনটাইন ডে সেলিব্রেশন করছেন তিনি। কিন্তু সেখানে চাকচিক্য না থাকলেও, নেই ভালবাসার অভাব। ভালবাসা দিবসে এক অন্য ভালবাসার শিক্ষা দিয়ে চলেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ মোবাইলে তোলা ছবিও ঠাঁই পাচ্ছে ফটোগ্রাফি এক্সিবিশনে
চৈতালী দেবী বহুদিন থেকেই সারমেয় প্রেমী। তার ভালবাসা থেমে যায় এই নিরীহ নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দেখে। তবে ২০১৫ সাল থেকে তিনি অসুস্থ বিভিন্ন সারমেয়গুলিকে নিয়ে সংসার শুরু করেন। পরিবারে সদস্য বেড়েছে অনেক। বিভিন্ন আশ্রয়হীন অসুস্থ সারমেয়গুলিকে নিয়ে এসে তিনি আশ্রয় দেন। নিজে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলেন তাদের।
বিভিন্ন পরিত্যক্ত সারমেয়গুলিকেও তিনি সংগ্রহ করে আনেন। আর ভালবাসায় ভরিয়ে দেন অবলা এই প্রাণীগুলিকে। প্রতিদিন তারা পালন করেন ভ্যালেন্টাইন ডে। এমনকি অসুস্থতার দিনেও চৈতালি দেবী এই অপরাধের ছেলে বিছানায় শুয়ে থাকতে পারেন না। উঠে আসেন অবলাদের একটু আদর করতে, একটু খাওয়ানোর জন্য। তবে চৈতালি দেবীর প্রতি কোনও অভিযোগ নেই তাদের। ভালবাসা দিবসে এমন ভালবাসাকে কুর্নিশ।
Nayan Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Durgapur