হোম /খবর /পশ্চিম বর্ধমান /
বাড়িতে চুরি করার পর মোবাইলে মেসেজ ‘চুরি করে মজা পেলাম’, আর কী হল দেখুন

Paschim bardhaman: বাড়িতে চুরি করার পর মোবাইলে মেসেজ ‘চুরি করে মজা পেলাম’, আর কী হল দেখুন

চুরি করার পর মোবাইলে মেসেজ চুরি করে মজা পেলাম 

চুরি করার পর মোবাইলে মেসেজ চুরি করে মজা পেলাম 

বাড়িতে চুরি করার পর মোবাইলে মেসেজ, 'চুরি করে মজা পেলাম, ভালই মাল পেয়েছি',আর চোরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ঘুম উড়েছে পুলিশের।

  • Share this:

পশ্চিম বর্ধমান: আজব কাণ্ড! মেসেজ করে চোর বলছে, ‘চুরি করে মজা পেলাম৷ মাল ভালই পেয়েছি৷’ চোরের আত্মবিশ্বাসে কাবু পুলিশও৷ এমনই এক ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের আওতায় থাকা হিরাপুর থানার সূর্যনগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়৷ চোরের চ্যালেঞ্জ করার সাহস থেকে চমকে গিয়েছে পুলিশও৷  

জানা গিয়েছে হিরাপুর থানার সূর্যনগর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পরিবহন ব্যবসায়ী রাজেশ গুপ্তা, তাঁর পরিবার নিয়ে থাকেন। তিনি জানান, গত ২৪ শে জানুয়ারি ঘণ্টা দুয়েকের জন্য পরিবারের লোকেরা এক আত্মীয়র বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন দুপুর বারোটা নাগাদ। দুপুর দু’টো নাগাদ রাজেশ বাবুর বাবা প্রথম বাড়িতে আসেন এবং ফিরে দেখেন পিছনের দরজাটা ভাঙা। সেখানে দিয়ে চোরেরা একটি ঘরে ঢুকে আলমারি থেকে আট হাজার টাকা নগদ এবং প্রায় ছয় লক্ষ টাকা মূল্যের গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন, সকাল থেকেই কলকাতায় শিরশিরে ঠান্ডা ফেরত, রাজ্যে রাজ্যে জারি বৃষ্টির অ্যালার্ট

আরও পড়ুন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না...’, বললেন ফাইনালের সেরা তিতাস

চুরির দিনই রাতে ন’টা তিন মিনিট থেকে ন’টা ছ’মিনিটের মধ্যে পাঁচটি মেসেজ হোয়াটসঅ্যাপে লিখে পাঠানো হয়। তাতে লেখা, ‘বেশ মজা পেলাম। কত টাকা গেল।’ আবার রাত্রি ৭টা ৪ মিনিট থেকে ৭টা ৯ মিনিট পর্যন্ত বেশ কয়েকটি মেসেজ পাঠানো হয়। প্রথম মেসেজেই বলা হয়, ‘মজা আসল চুরিটা করে।’

তার পর দ্বিতীয় মেসেজে বলা হলো, ‘ভালই মাল পেয়েছি। ছয় লাখ টাকার।’ আরেকটি ম্যাসেজে লেখা, ‘তুই নম্বরটা ট্র্যাক করতে পারবি না।’ তারপরের মেসেজ লেখা হল, ‘আমি তোর পুরো অটোবায়োগ্রাফি জানি।’ শনিবার লিখিতভাবে এই অভিযোগ পাওয়ার পর হিরাপুর থানার ওসি প্রসেনজিৎ রায় নিজে ঘটনাস্থলে যান এবং তদন্ত শুরু করেন।

তবে এসব মেসেজই করা হয়েছে ভার্চুয়াল ফোনের মাধ্যমে, কী এই ভার্চুয়াল ফোন! এই বিষয়ে পুলিশের এক আধিকারিক জানান, একটি বিশেষ ধরনের অ্যাপ ডাউনলোড করে তার মধ্যে দিয়ে মেসেজ পাঠানো হয় এবং সেই মেসেজ কোন নম্বর থেকে আসছে তা ধরা যায় না। এ ক্ষেত্রে পুলিশ আসানসোলের সাইবার আধিকারিকদের ও হোয়াটস অ্যাপ কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে চিঠি দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পুলিশের ধারণা যে পরিবারের চুরি হয়েছে তাঁদের পরিচিত এবং কাছাকাছি কোনও বাসিন্দা এই ধরনের অপরাধ করতে পারে।

Published by:Uddalak B
First published:

Tags: Crime