কালিয়াগঞ্জ: দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে উত্তর দিনাজপুর ক্রেতা আদালতে সঠিক বিচার পেলেন রায়গঞ্জের বাসিন্দা স্মৃতি বিশ্বাস ও তাঁর পরিবার। উত্তর দিনাজপুর ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে রুবি আচার্য্য, দেবাশীষ হালদার এবং স্বপন কুমার রায়ের এজলাসে বেসরকারি জীবন বীমা কোম্পানিকে মোটা টাকার জরিমানা ধার্য করা হয়। অবশেষে হাসি ফোটে স্মৃতি বিশ্বাস ও তাঁর পরিবারের মুখে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের মার্চ মাসের ৮ তারিখে রায়গঞ্জের বাসিন্দা প্রয়াত শচীদানন্দ বিশ্বাস একটি বেসরকারি জীবন বীমা সংস্থায় জীবন বীমা করান। শচীদানন্দ বিশ্বাস ৬ মাস পর পর তিনি বীমার প্রিমিয়াম দেওয়ার এগ্রিমেন্ট করে একটি বিমা করেন।
আরও পড়ুন: রাস্তার ধারে, ড্রেনের ঠিক পাশে পড়ে রয়েছে ওটা কে! সামনে আসতে যা দেখা গেল... ভয়ঙ্কর!
ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয় প্রিমিয়াম দেবার সময় নির্ধারিত থাকলেও তিনি সেই প্রিমিয়াম দিতে পারেননি। অবশেষে ঐ বছরের ১০ই সেপ্টেম্বর শচিদানন্দ বিশ্বাস প্রয়াত হন। স্বামীর মৃত্যুর পর মৃতের স্ত্রী স্মৃতি সহ স্বামীর জীবন বিমার প্রিমিয়ামের টাকা ফেরত নেবার জন্য বিমা কোম্পানির দ্বারস্থ হন। কিন্তু মৃতের পরিবারদের জীবন বীমা কোম্পানির কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন কোনও ভাবেই জীবন বীমার প্রিমিয়ামের টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। এই কথা শোনার পর মৃতের পরিবার অবশেষে উত্তর দিনাজপুর ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন।
জানা যায়, অভিযোগকারীদের আইনজীবি ছিলেন ২ জন। প্রতিষ্ঠিত আইনজীবি ছিলেন জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমৃত রায়। জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রতিবেদককে বলেন খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। মৃতের পরিবারদের সেই বেসরকারি জীবন বীমা কোম্পানি পরিষ্কার ভাবেই জানিয়ে দিয়েছিল মৃতের নামে যে জীবন বীমা পলিসি ছিল সেটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই সেই পলিসি থেকে কোনও সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে না।
কিন্তু আইনজীবি জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁরা আদালতে প্রমাণ করে দিতে পেরেছেন যে মৃতের পলিসি থেকে আর্থিক সুবিধা অবশ্যই পাওয়া যাবে। প্রিমিয়াম দেবার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাবার পরেও একমাস সময় পাওয়া যায়। "বেসরকারি বীমা কোম্পানিটি আমার মক্কেলকে তাঁর প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করবার একটা চেষ্টা চালিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত তা ধোপে টেকেনি" বলেই জানান আইনজীবি জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে ওটা কীসের গন্ধ? পরপর অসুস্থ ৯ জন! যা ঘটল, শুনলে ভয়ে ঘুম উড়ে যাবে
অবশেষে সত্যের জয় হয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারক দেবাশীষ হালদার, বিচারক রুবি আচার্য্য এবং স্বপন কুমার রায়ের এজলাসে।বুধবার বিচারকরা আগামী একমাসের মধ্যে আমার হত দরিদ্র মক্কেলের হাতে ২ লক্ষ ৫৫হাজার টাকা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানান আইনজীবি।
পিয়া গুপ্তা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: North Dinajpur