#কলকাতা: স্বাস্থ্যের পর মুখ্যমন্ত্রীর নজরে শিক্ষা ৷ মুখ্যমন্ত্রীর নজরে রাজ্যের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ৷ বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের ডোনেশন, লাগামছাড়া বেতন বৃদ্ধির অভিযোগ রয়েছে বহু দিন ধরেই। স্বাস্থ্যের পর শিক্ষা।বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির একতরফা মনোভাবে লাগাম পরাতে তৈরি হচ্ছে রেগুলেটরি কমিশন।
শিক্ষাসচিব ছাড়াও পুলিশকর্তা,, স্কুল পরিদর্শকদের নিয়ে তৈরি হচ্ছে রেগুলেটরি কমিশন। থাকবেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও। লাগামছাড়া ফি, পরিকাঠামোর অভাবের মতো অভিযোগে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। টাউন হলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে বৈঠকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বেসরকারি হাসপাতালের মতই বেসরকারি স্কুল ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও ভুরি ভুরি অভিযোগ। ভর্তির সময় বিপুল ফি, পরেও নানা অছিলায় টাকা নেওয়ার মতো অভিযোগ্য নিত্যদিনের ঘটনা। গত কয়েক বছরে অভিযোগের তালিকা ক্রমশ লম্বা হয়েছে।
লাগামছাড়া অ্যাডমিশন ফি। কখনও কখনও তা কয়েক লক্ষ টাকা ৷ নতুন শ্রেণীতে ভর্তিতে বাড়তি টাকা, কসান ডিপোজিট, ডেভেলপমেন্ট ফি-নামে টাকা, স্পোর্টস ও কালচারাল অ্যাকটিভিটির নামে টাকা, নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের পোষাক, জুতো, খাতা কিনতে বাধ্য করা ৷
এব্যাপারে সমাধানসূত্র খুঁজতেই বুধবার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্থির হয়,বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে গঠিত হবে রেগুলেটরি কমিশন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, ‘কমিশনে থাকবেন শিক্ষাসচিব, ডিজি, সিপি, বিভিন্ন স্কুলের প্রতিনিধিরা, আর্চ বিশপ ৷ এমনকি, কমিশনে জেলা থেকে ডিপিও থাকবেন ৷’
স্কুলশিক্ষা সচিব, পুলিশের শীর্ষকর্তা ছাড়াও কমিশনে থাকবেন বেসরকারি স্কুলের প্রতিনিধিরাও। থাকবেন ডিস্ট্রিক্ট প্ল্যানিংঅফিসাররাও।
স্কুলের গ্রিভান্স সেলে অভিযোগ করে ফল না মিললে কমিশনের দ্বারস্থ হওয়া যাবেসেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্কুলকে নির্দেশ দিতে পারবে কমিশনকমিশন অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে রাজ্যকে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে পারেফি কাঠামোয় বৈষম্য, শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত বিষয় নিয়মিত খতিয়ে দেখবে কমিশন
শিক্ষায় এই রেগুলেটরি কমিশন সব অর্থেই দৃষ্টান্ত হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
-২০০৯ সালের রাইট টু এডুকেশন আইন কার্যকর করে কেন্দ্র- ২০১২ সালে রাজ্যে তা চালু হলেও বেসরকারি শিক্ষাকে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ ছিল না- কমিশনের মাধ্যমে প্রথমবার সেই সুযোগ তৈরি হল- বেসরকারি শিক্ষাতেও স্বচ্ছতা আসার আশা জোরদার হল