#কলকাতা: জিডি বিড়লা স্কুলে চার বছরের ছাত্রীকে যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের ফের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ । ধৃত দুই শিক্ষকের ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফজতের নির্দেশ দিল আলিপুরের ষষ্ঠ এডিজে পকসো আদালত। নেওয়া হবে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি। হবে মেডিক্যাল টেস্টও । এদিকে , এদিন জিডি বিড়লা স্কুলে তদন্তে যান গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। লালবাজারে ডেকে পাঠানো হচ্ছে স্কুলের অধ্যক্ষকে।
জি ডি বিড়লায় শিশুকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত অভিষেক রায় ও মহম্মদ মফিজউদ্দিনকে সোমবার পেশ করা হয় আলিপুরের ষষ্ঠ এডিজে পকসো আদালত। সকাল থেকেই বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যদের স্লোগান ও বিক্ষোভে আদালত চত্বর ছিল সরগরম। ধৃতদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী। অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবীর দাবি, পকসো আইনের চার ও ছয় ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি পুলিশ। সওয়াল -জবাব শোনার পর দুই অভিযুক্তের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
১৬৪ ধারায় নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নিতে সম্মতি দেয় আদালত।
এদিকে, রবিবার যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগের পরই স্কুলের অধ্যক্ষকে লালবাজারে ডেকে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সোমবার লালবাজারে গোয়েন্দা বিভাগে যান নির্যাতিতা শিশুর বাবা-মা। কিন্তু তদন্তকারী অফিসার না থাকায় ফের মঙ্গলবার আসবেন তাঁরা।
শিশু নির্যাতনের তদন্তে এদিন জিডি বিড়লায় যান গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। স্কুলের ভিতরের স্টিল ও ভিডিওগ্রাফি করেন তাঁরা।
----স্কুলের জুনিয়র সেকশন ঘুরে দেখেন তাঁরা
----স্কুলের শৌচালয়ে গিয়েও তদন্ত করেন
----ঘুরে দেখেন ক্লাসরুম
----শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোথায় বসেন?
---কোথা দিয়ে যাতায়াত করেন?
---সবকিছু খুঁটিয়ে দেখেন গোয়েন্দারা
----কথা বলেন কেয়ারটেকারদের সঙ্গে
জিডি বিড়লার ঘটনায় জনস্বার্থ মামলায় অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। অস্থায়ী প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। ঘটনা জেনে মামলায় অনুমতি দেয় বেঞ্চ ।