#নয়াদিল্লি: তাৎক্ষণিক ৩ তালাক অবৈধ। বহুদিনের টানাপোড়ন শেষে ঐতিহাসিক রায়ে জানাল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। সেই রায়কে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যা দেন ৷
প্রধানমন্ত্রী মোদী এ প্রসঙ্গে ট্যুইট করে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায় ঐতিহাসিক ৷ এই রায় মুসলিম মহিলাদের সমানাধিকার দেবে ৷ নারী স্বাধিকারে শক্তিশালী পদক্ষেপ ৷’
সোমবার প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মুসলিম সমাজে প্রচলিত তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রথা স্বেচ্ছাচারী, একতরফা ও অসাংবিধানিক। যদিও, এ নিয়ে ঐকমত্যে আসতে পারেনি ওই বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতিসহ দুই বিচারপতি তালাকের পক্ষে মত দেন। তিন জন ছিলেন বিপক্ষে। শেষপর্যন্ত, সংখ্যাগরিষ্ঠের মতে, অসাংবিধানিক ঘোষিত হয় তালাক-এ-বিদাত।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর মুসলিম সমাজের তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রথা নিয়ে চলা যাবতীয় বিতর্কে এবার ইতি টেনে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তাৎক্ষণিক প্রথায় স্ত্রীকে তিনবার তালাক বলে দিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ সারতেন বহু মুসলিম পুরুষ। ফোনে এসএমএস করে, হোয়াটসঅ্যাপ করে বা চিঠি লিখেও ৩ তালাক দেওয়ার অভিযোগ ওঠে একাধিকবার।
তালাক এ বিদাতের আইনি বৈধতা নিয়ে গত ১১ মে থেকে শুরু হয় শুনানি পর্ব। টানা ছ’দিন শুনানি চলে। মঙ্গলবারও, পাঁচ বিচারপতির মধ্যে চলে তিন তালাকের পক্ষে-বিপক্ষে চাপানউতোর। প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর ও আরেক বিচারপতি এস আবদুল নাজির তিন তালাকের পক্ষে সওয়াল করেন। তাঁদের যুক্তি, ইসলামে ওই প্রথার উল্লেখ রয়েছে। তাঁদের মতে, ইসলামে যার উল্লেখ রয়েছে, তাকে অসাংবিধানিক দাগিয়ে দেওয়াটা ঠিক নয়। তাঁরা ওই প্রথার উপর ছ’মাসের স্থগিতাদেশ দেওয়ার পক্ষেই ছিলেন।
পাশাপাশি তাঁদের মত ছিল, এই বিষয়ে কেন্দ্র নতুন কোনও আইন আনুক। তত দিন স্থগিতাদেশ বহাল থাকুক। কিন্তু, বাকি তিন বিচারপতি বিচারপতি রোহিংটন ফলি নরিম্যান,বিচারপতি উদয় ললিত ও বিচারপতি জোসেফ কুরিয়েন ওই প্রথাকে অসাংবিধানিক, ইসলামবিরোধী ও কোরানবিরুদ্ধ বলে রায় দেন। শেষপর্যন্ত, সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে হেরে যায় খেহর ও নাজিরের মত।
Judgment of the Hon'ble SC on Triple Talaq is historic. It grants equality to Muslim women and is a powerful measure for women empowerment.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 22, 2017