#লখনউ: সরকার যেন আমাদের ফেলে রেখেছে ভগবানের ভরসায়!
লখনউয়ের আনাচে-কানাচে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে অভিযোগের এই ক্ষুব্ধ স্বর। কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়ে যাঁরা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন, তাঁরা বলছেন যে এর চেয়ে খারাপ অবস্থা আর কিছু হতে পারে না। যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন বরাত জোরে, তাঁরা তাও চিকিৎসা পরিষেবাটুকু পাচ্ছেন। কিন্তু যাঁরা হাসপাতালে শয্যার অভাব হওয়ায় বাড়িতে থাকতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁদের হাতের কাছে কিছুই নেই! না আছে অক্সিজেন, না আছে প্রয়োজনীয় ওষুধ! দোকানে ফোন করে বাড়িতে এসব দিয়ে যেতে বললে তারা হাসপাতালের প্রেসক্রিপশন দেখতে চাইছে, নয় তো চাইছে আকাশছোঁওয়া টাকা! এ হেন পরিস্থিতিতে লখনউয়ে হোম আইসোলেশনে যাঁরা আছেন, তাঁদের কাছে করোনা কিট, অর্থাৎ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র Flipkart-এর মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়ার পদক্ষেপ করল প্রশাসন।
সরকার এবং বেসরকারি সংস্থার এই গাঁটছড়া বাঁধার কারণ একটাই- পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব। জানা গিয়েছে যে হোম আইসোলেশনে থাকা এই মানুষগুলোর কাছে প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত কর্মী নেই প্রশাসনের কাছে। তাই লখনউয়ের সাময়িক ভাবে ভারপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট রোশন জ্যাকব (Roshan Jacob) এই পদক্ষেপ করতে একরকম বাধ্য হয়েছেন। লখনউয়ের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক প্রকাশ (Abhishek Prakash) নিজেও আপাতত করোনায় আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। তাঁর জায়গায় কাজ সামলাতে এসে আপাতত পরিস্থিতির প্রতিকূলতা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন জ্যাকব।
তবে তিনি হার মানেননি! জানা গিয়েছে যে প্রথম দিন Flipkart-এর ১৫ জন কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছিল লখনউয়ের ১১২৫টি পরিবারে এই প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার কাজে। প্রশ্ন উঠবেই যে এই ১৫ জন কর্মী নিয়োগ কি প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত? রোশন নিজেও জানেন যে উত্তরটা নেতিবাচক দিকেই যাবে। তাই তিনি জানিয়েছেন যে খুব তাড়াতাড়ি আরও ৪০ জন কর্মী নিয়োগ করা হবে। Flipkart-এর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে যে অতি সত্বর পরিষেবার মাধ্যমে তারা স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে এই মেডিক্যাল কিট।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19, Flipkart, Lucknow